কক্সবাজারচট্টগ্রাম

টেকনাফ-সেন্টমার্টিন বিকল্প পথে ঝুঁকি নিয়ে নৌ চলাচল

নিরাপত্তাজনিত কারণে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে বিকল্প রুট দিয়ে চলাচল করছে নৌযান। যাত্রী ও জরুরি পণ্য আনা-নেয়ার জন্য টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপ হয়ে সেন্টমার্টিন যাচ্ছে এসব নৌযান। ফিরছেও একই পথে। বিকল্প পথটিতে উত্তাল সাগর পাড়ি দিতে হয় এবং এতে মারাত্মক ঝুঁকিও রয়েছে।

২৩ জুন সেন্টমার্টিনদ্বীপ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান জানান, শনিবার সকালে শাহপরীরদ্বীপ থেকে জরুরি পণ্য এবং কিছু যাত্রী নিয়ে সেন্টমার্টিন গেছে দুইটি ট্রলার। একই সঙ্গে সেন্টমার্টিন থেকে রোগীসহ ১৫ যাত্রী নিয়ে শাহপরীরদ্বীপ আসে দুইটি স্পিডবোট। স্বাভাবিক রুটের চেয়ে বিকল্প রুটটিতে উত্তাল সাগর পাড়ি দিতে হলেও নৌযান চলাচল স্বাভাবিক হওয়ায় আমরা আপাতত টেনশনমুক্ত। শনিবার সকালে শাহপরীরদ্বীপের বদরমোকাম এলাকা হয়ে দুইটি ট্রলার সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে যাত্রা করে। ট্রলার দুইটি বেলা ১২টার দিকে দ্বীপে গিয়ে পৌঁছে। ট্রলার দুইটিতে ৩০০ গ্যাস সিলিন্ডার, কিছু খাদ্যপণ্য ও ৩০-৪০ জন যাত্রী ছিল।

এর আগে বৃহস্পতিবার দ্বীপের ৩৫ শিক্ষার্থীসহ ৯২ জন যাত্রী নিয়ে দুইটি ট্রলার শাহপরীরদ্বীপে নিরাপদে পৌঁছে। মিয়ানমারে চলমান সংঘাতের কারণে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকার একই স্থানে ট্রলারে তিনবার গুলির ঘটনা ঘটে। ফলে নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে নৌযান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন বঙ্গোপসাগরকে ব্যবহার করে যাত্রী আসা যাওয়া ও পণ্য নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান ও স্পিডবোট মালিক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম জানান, শনিবার প্রশাসনের অনুমতিতে দ্বীপ থেকে রোগীসহ ১৫ জন যাত্রী নিয়ে দুইটি স্পীডবোট শাহপরীরদ্বীপে নিরাপদে পৌঁছে। বিকল্প পথে সীমিত পরিসরে নৌযান চলাচল স্বাভাবিক হওয়ায় দ্বীপের মানুষ কিছুটা হলেও স্বস্তি পেয়েছেন। কোস্টগার্ড, বিজিবি, নৌ বাহিনীর সার্বিক নজরদারি ও নিরাপত্তায় দ্বীপে আসা-যাওয়া স্বাভাবিক হচ্ছে। বিকল্প পথটিতে উত্তাল সাগর পাড়ি দিতে হয়। এতে ঝুঁকিও রয়েছে। তবু দ্বীপের প্রয়োজনে এটিকে মঙ্গল মনে করছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d