আন্তর্জাতিক

ট্রাম্প-হ্যারিস বিতর্কে মুখোমুখি হবেন যেসব নিয়ম মেনে

যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামী মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) প্রথমবারের মতো সরাসরি বিতর্কে অংশ নিয়ে একে-অন্যের মুখোমুখি হতে চলেছেন। হোয়াইট হাউসে যাওয়ার এই লড়াইয়ে দুজনই নিজের অবস্থান ধরে রাখতে মরিয়াভাবে চেষ্টা চালাবেন বলে মনে করছেন সবাই।

অবশেষে কবে, কোথায় ও কীভাবে এই বিতর্কের আয়োজন হবে তা নিয়ে কয়েক সপ্তাহের জল্পনা-কল্পনার অবসান হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সম্প্রচার মাধ্যম এবিসি এই অনুষ্ঠানটির আয়োজন করছে। আর এক্ষেত্রে এই প্রতিযোগিতায় কী কী নিয়ম মেনে চলতে হবে, তার একটি চূড়ান্ত তালিকাও প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।

এ সপ্তাহে দুপক্ষের নির্বাচনি প্রচারণা সংক্রান্ত কর্তৃপক্ষের সম্মতিতেই এই নিয়মগুলো প্রকাশ করা হয়, যার কয়েকটি এখানে তুলে ধরা হলো-

কখন ও কোথায়?

আগামী মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের সময় রাত ৯টায় ফিলাডেলফিয়ার ন্যাশনাল কনিস্টিটিউশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত হবে এই বিতর্ক, যা সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। তবে এ সময় কোনো দর্শক-শ্রোতা সেখানে থাকবে না।

দুটি বাণিজ্যিক বিরতিসহ ৯০ মিনিটের এই অনুষ্ঠানে উপস্থাপনা করবেন এবিসির সঞ্চালক ডেভিড মুইর ও লিনসে ডেভিস।

নীরব থাকবে কি মাইক্রোফোন?

কথা উঠেছে বিতর্ক চলার সময় কখন মাইক্রোফোন বন্ধ থাকবে? এর আগে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে অনুষ্ঠিত এর আগের বিতর্কে মাইক্রোফোনের ব্যবহার নিয়ে বাদানুবাদ সৃষ্টির অভিযোগ উঠেছিল। সে সময় দুই প্রার্থীই প্রশ্নের উত্তরে একে-অন্যকে কাপুরুষ হিসেবে অভিযুক্ত করেছিল।

এবিসি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের মাইক্রোফোন কেবল তাদের জন্য নির্ধারিত সময়ে কথা বলার ক্ষেত্রে চালু থাকবে। একজন বক্তা যখন তার জন্য বরাদ্দ করা সময়ে কথা বলবেন, তখন অন্যজনের মাইক্রোফোনটি বন্ধ থাকবে।

অনুষ্ঠান সঞ্চালকরা প্রশ্ন করতে পারবেন এবং এক্ষেত্রে আলোচনার বিষয় বা প্রশ্নের ধারা আগে থেকে কোনো প্রার্থীকে জানানো হবে না।

কে কখন কথা বলবেন?

প্রার্থীরা কোনো প্রারম্ভিক বক্তব্য দেবেন না। প্রতিটি প্রশ্নের উত্তরের জন্য দুই মিনিট সময় বরাদ্দ থাকবে। এই প্রশ্নের উত্তরের বিরোধিতা করে অন্য প্রার্থীকেও বক্তব্য দেওয়ার জন্য দুই মিনিট সময় দেওয়া হবে।

নিয়ম অনুসারে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা ও জবাব দেওয়ার জন্য দেওয়া হবে এক মিনিট অতিরিক্ত সময়।

বিতর্ক শেষে দুই প্রার্থীকেই সমাপনী বক্তব্য দেওয়ার জন্য দুই মিনিট সময় দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে ভার্চুয়াল টসে নির্ধারিত হওয়ায় ডোনাল্ড ট্রাম্প পরে বক্তব্য দেবেন।

থাকবে না আনুসঙ্গিক কিছু : বিতর্কের পুরো সময়টা প্রার্থীরা মঞ্চে দাঁড়িয়ে বক্তব্য দেবেন। এক্ষেত্রে কোনো সহায়ক সরঞ্জাম বা আগে থেকে লেখা কোনো কিছু বা কোনো নোট নিয়ে আসতে পারবেন না তারা।

ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কমলা হ্যারিস দুজনকেই দেওয়া হবে একটি করে কলম, লেখার প্যাড ও এক গ্লাস পানি।

বাণিজ্যিক বিরতির সময় নির্বাচনের প্রচারণায় অংশ নেওয়া কোনো ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলতে পারবেন না তারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d