বিনোদন

ডিভোর্স তানিয়াই চেয়েছিল: এস আই টুটুল

শোবিজের পরিচিত দম্পতি সংগীতশিল্পী এস আই টুটুল ও অভিনেত্রী তানিয়া আহমেদ। প্রায় ৫ বছরের মতো আলাদা থাকার পর ২০২১ সালে দীর্ঘ ২২ বছরের সংসার ভেঙে গেছে যা প্রকাশ্যে আসে ২০২২ সালে। কিন্তু বিচ্ছেদ নিয়ে কেউই সেভাবে মুখ খোলেননি। এস আই টুটুল নিজেই জানিয়েছিলেন বিচ্ছেদের কথা। কিন্তু কেন তাদের বিচ্ছেদ হয়েছিল, সে বিষয়ে সম্প্রতি মুখ খুলেন তানিয়া আহমেদ।

এবার একই প্রসঙ্গে নিয়ে কথা বলেছেন সংগীতশিল্পী এস আই টুটুল। গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, আমার যখন বড় বড় অ্যাওয়ার্ড পাওয়া শুরু হলো, আমি রিসিভ করতে যাব, সেই অনুষ্ঠানগুলোর কোনোটাতেই আমি অনুরোধ করলেও তানিয়াকে পাশে পাইনি। আমার এই অর্জনগুলোতে আমি ওকে আমার পাশে খুব চাইতাম কিন্তু সে বারবার একই কথা বলত ‘আমি যাব না’। অ্যাওয়ার্ড আমি ওকে উৎসর্গ করব ভেবে রাখতাম কিন্তু ওকে পাইনি।

তিনি জানান, এই বিচ্ছেদ প্রক্রিয়ার কোনো কিছুই তিনি করেননি। বিচ্ছেদের সব প্রক্রিয়া তানিয়া নিজেই তার ছোট ভাই এবং ভাবির মাধ্যমে করিয়েছিল। অথচ সবাই জানল, আমিই নাকি তাকে ডিভোর্স দিয়ে চলে গেছি। মানুষ আমাকে ভুল বুঝেছেন।

টুটুল বলেন, যারা সত্যিকার ভালোবাসে, তারা কখনোই বিচ্ছেদ চায় না। আমি কখনোই তানিয়ার সঙ্গে বিচ্ছেদ চাইনি। তানিয়াই চেয়েছিল বারবার। কেন চেয়েছিল, সত্যটা সে নিজেই সবচেয়ে ভালো বলতে পারবে। সে স্বাধীনভাবে জীবন যাপন করতে চায়, সংসারের কোনো বাধ্যবাধকতা সে আর একেবারেই চায় না। সে বলেছিল, যখন যেখানে খুশি বেরিয়ে যাবে। কোথায় যাচ্ছে, কখন ফিরবে- এসব কোনো কিছুই আমি জানতেও চাইতে পারব না ইত্যাদি। একসময় সে চলাফেরাও শুরু করেছিল সে রকমভাবেই। এছাড়া আমার সঙ্গে তার ব্যবহার-আচার এবং অনেক কিছুই, যা আমি মেনে নিতে পারিনি। তাই বিচ্ছেদে আমিও একসময় রাজি হয়েছিলাম।

তারকাখ্যাতির অহংকার প্রসঙ্গে এই গায়ক বলেন, আমার চাইতেও সে যে একজন বড় সেলিব্রেটি, সেটা কে না জানে? স্ত্রীর সঙ্গে তারকাখ্যাতির অহংকার অবশ্যই কোনো মানসিক রোগী ছাড়া কোনো নরমাল মানুষ করবে না। তবু আমি ক্ষমা চাই, আমার অজান্তে যদি কারও সঙ্গেই এমন কিছু করে থাকি।

এর আগে বিচ্ছেদ ইস্যুতে তানিয়া আহমেদ জানিয়েছিলেন, তিনি সব সময় চেষ্টা করেছেন সংসার টিকিয়ে রাখতে। কিন্তু বোঝাপড়া না হওয়াসহ একাধিক কারণে দীর্ঘদিন তাদের মধ্যে দূরত্ব ছিল। এই নিয়ে তারা মানসিকভাবেও ভেঙে পড়েন। তাদের পক্ষ থেকে চেষ্টা করেছেন, সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে। যে সম্পর্কের ভেতরে মমতা ছিল না, মায়া ছিল না, সেটা খোঁজার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন তানিয়া ও টুটুল। দুজনই দূরত্বটা অনুভব করছিলেন। পরে তানিয়া মনে করেন, এই সম্পর্ক থেকে বের হয়ে আসাটাই ঠিক হবে। পরে এস আই টুটুল তানিয়াকে বিবাহবিচ্ছেদের নোটিশ পাঠান।

প্রসঙ্গত, ১৯৯৯ সালের ১৯ জুলাই ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন এস আই টুটুল ও তানিয়া আহমেদ। বিচ্ছেদের খবর প্রকাশ্যে আসার আগে তাদের দাম্পত্য জীবন নিয়ে কখনো নেতিবাচক কিছু শোনা যায়নি। সাবেক এই দম্পতির ঘরে রয়েছে দুই ছেলে ও এক মেয়ে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d