চট্টগ্রামজাতীয়

ডেঙ্গু আক্রান্ত ৪০ শতাংশ রোগী মশারি টাঙায়নি

চট্টগ্রামে ডেঙ্গু আক্রান্ত ৪০ শতাংশ রোগীর জন্য মশারি টাঙানোর উদাসীনতাই কাল হয়েছে ।সম্প্রতি এক গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে, আক্রান্ত হওয়ার আগে কখনোই মশারি টাঙায়নি এসব রোগী।

ডেঙ্গুর মূল কারণ মশা এটিও জানেন না আক্রান্ত ২০ ভাগ মানুষ।জমাটবাধা পানি থাকলে সেখানে ডেঙ্গু মশার বিস্তার বাড়ে এই তথ্যও জানা নেই ১৫ ভাগ মানুষের।

গবেষণা প্রতিষ্ঠান এসপেরিয়া হেলথ রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন বলছে, চট্টগ্রামের ৬০ ভাগ ডেঙ্গু রোগীর আবাসস্থল নগরের পাঁচটি এলাকায়। যা গবেষকেরা হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। এলাকাগুলো হলো— বাকলিয়া, চকবাজার, কোতোয়ালি, ডবলমুরিং এবং বায়েজিদ বোস্তামী এলাকা। এছাড়া গ্রামাঞ্চলের মধ্যে সীতাকুণ্ড, হাটহাজারী, পটিয়া এবং কর্ণফুলী এলাকা থেকে সবচেয়ে বেশি রোগী পাওয়া গেছে। রোগীদের মাঝে দেখা গেছে সচেতনতার অভাব এবং

গবেষকরা জানান, চট্টগ্রামের ৯৯ শতাংশ রোগীর মধ্যে ডেঙ্গু সংক্রমণের পর জ্বরের প্রাধান্য দেখা গেছে। তবে শিশুদের ক্ষেত্রে শতভাগ রোগীর মাঝেই জ্বরের লক্ষণ ছিল। এ ছাড়া স্বল্পশিক্ষিত মানুষের মধ্যে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি দেখা যায়। পঞ্চম শ্রেণির বেশি পড়াশোনা করেননি—এমন ডেঙ্গু রোগী ছিল চট্টগ্রামে ৪৫ শতাংশ। তাছাড়া চট্টগ্রামের যাদের মধ্যে সেরোটাইপ ১ পাওয়া গেছে তাদের মধ্যে ৭০ ভাগ ছিল শিশু। চট্টগ্রামের ডেঙ্গু আক্রান্ত শিশু শহর এলাকায় বেশী, শিশুদের মধ্যে ৭০ ভাগ এসেছে শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে।শহর ও গ্রাম উভয় জায়গাতেই প্রাপ্তবয়স্ক মানুষদের মধ্যে ডেঙ্গু সেরোটাইপ ২ বেশী দেখা গিয়েছে যা প্রায় ৭৫ ভাগ। আক্রান্তদের ৫ ভাগের আগেও ডেঙ্গু হয়েছিল।

এবছর চট্টগ্রামে ডেঙ্গুতে আক্রান্তদের মধ্যে প্রতি পাঁচজনের একজন ছিল শিশু। আক্রান্তদের ৬৫ ভাগ পুরুষ হলেও নারী ও শিশুমৃত্যু বেশি হয়েছে। ডেঙ্গুতে ভোগা ৭৫ ভাগ রোগীই ডেন–২ সেরোটাইপ ধরনের মাধ্যমে আক্রান্ত হয়েছেন। আর ১১ শতাংশ মানুষ ডেন-১ সেরোটাইপ এবং ১৪ শতাংশ মানুষ ডেন-৩ সেরোটাইপে আক্রান্ত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d