নগরীতে বিদ্যুতের ‘ভেলকিবাজি’, গরমে হাঁসফাঁস
নগরীর চকবাজার, পাঁচলাইশ, কাতালগঞ্জ, শোলকবহর, বাকলিয়া, কাজির দেউড়ি, লাভ লেইন, জুবিলি রোড, টেরিবাজার, হাজারী গলি, আন্দরকিল্লা, দেওয়ান বাজার, ২ নম্বর গেইট, মুরাদপুর, বিবিরহাট, অক্সিজেন, চট্টেশ্বরী রোড ও লালখান বাজার, হালিশহর ও পতেঙ্গাসহ অনেক এলাকার বাসিন্দার এখন ‘মাথাব্যাথা’ লোডশেডিং। গরমে কমবেশি অতিষ্ঠ সবাই।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, রবিবার চট্টগ্রামের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩২ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের চেয়ে ২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। আর গতকাল শনিবার নগরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের চেয়ে ১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি।
বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল (শনিবার) হঠাৎ দেশের শীর্ষ স্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী এস আলম গ্রুপ এবং চীনা কোম্পানি সেপকো থ্রি ও এইচটিজি এর মালিকানাধীন এস এস পাওয়ার প্লান্ট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সরবরাহে ঘাটতি দেখা দেয়। ওই পাওয়ার প্ল্যান্টটি ১৩২০ মেগাওয়াটের। অন্যদিকে ২৪২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রে টানা অনাবৃষ্টির কারণে কাপ্তাই হ্রদের পানি দ্রুত শুকিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ধস পড়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কয়লা ও জ্বালানি সংকট বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত করার অন্যতম কারণ। বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো মূলত গ্যাস, তেল ও ফার্নেস অয়েল দিয়ে চলে। ঠিক মতো কয়লা আমদানি করা না গেলে চট্টগ্রামে বিদ্যুৎ সংকট সামনে আরও প্রকট আকার হতে ধারণ করতে পারে।
এ প্রসঙ্গে রবিবার চট্টগ্রাম পিডিবির প্রধান প্রকৌশলী (বণ্টন) রেজাউল করিম বলেন, ‘গত দুদিন ধরে উৎপাদনের তুলনায় চাহিদা বেশি থাকায় সরবরাহে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। গতকাল (শনিবার) বাঁশখালীর এসএস পাওয়ারপ্লান্ট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সরবরাহে ঘাটতি দেখা দিয়েছিলো। ওদিন সকালে বিদ্যুৎ সরবরাহ ছিলো না। দুপুর নাগাদ ভালোই ছিলো। আবার আজ (রবিবার) বিকেল পর্যন্ত সংকট ছিলো। তবে বিকেল ৪টার পর থেকে এখন লোডশেডিং নেই কোথাও।’
কবে নাগাদ সমাধান হতে পারে—এমন প্রশ্নের জবাবে এই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা মূলত ন্যাশনাল লোড ডেসপ্যাচ সেন্টারের (এনএলডিসি) বরাদ্দ অনুযায়ী বিতরণ করে থাকি। যখন বরাদ্দ পর্যাপ্ত থাকে তখন বিদ্যুৎ সরবরাহে ঘাটতি থাকে না। তাদের মাধ্যমেই আমরা জানি উৎপাদন ঘাটতি আছে কি নেই। তবুও আমরা যে যার অবস্থান থেকে চেষ্টা করে যাচ্ছি। এই রমজানে গ্রাহকদের কমফোর্ট দেওয়া আমাদের দায়িত্ব।’