জাতীয়

নির্বাচন ঘিরে র‌্যাবের ১০ উদ্যোগ

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করার লক্ষ্যে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় শুক্রবার থেকে রাজধানীসহ সারা দেশে র‌্যাবের ৭ শতাধিক টহল টিম মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি প্রস্তুত রাখা হয়েছে র‌্যাবের হেলিকপ্টার ও ডগস্কোয়াড।

র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী র‌্যাব ফোর্সেস শুক্রবার থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সব নির্বাচনি এলাকায় দায়িত্ব পালন করবে। আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনে হেলিকপ্টার ও ডগ স্কোয়াড প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে র‌্যাব ফোর্সেস ১০টি উদ্যোগের কথা জানিয়েছে।

১. নির্বাচনি এলাকায় সামগ্রিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্ব পালন করবে।

২. আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় অন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে সহায়তা দেবে। এছাড়াও ভোটকেন্দ্র ও ভোট গণনার ক্ষেত্রে শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার্থে দায়িত্ব পালন করবে।

৩. নির্বাচনি দায়িত্ব পালনের জন্য প্রতিটি আসনে কমপক্ষে দুটি টহল দল মোতায়েন ও প্রতিটি ব্যাটালিয়নে দুটি টহল স্ট্রাইকিং রিজার্ভ থাকবে।

৪. র‌্যাব সদর দপ্তরে ১৫টি টহল দল সেন্ট্রাল রিজার্ভ হিসেবে প্রস্তুত থাকবে। দেশব্যাপী ২৫টি অস্থায়ী র‌্যাব ক্যাম্প স্থাপন করা হবে। এছাড়াও অন্যান্য স্থানে মোতায়েনের জন্য ৫০টি টহল দল প্রস্তুতসহ দেশব্যাপী সর্বমোট ৭০০টির অধিক টহল দল আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্ব পালন করবে।

৫. গোয়েন্দা কার্যক্রমের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করা হবে এবং নিজস্ব সুইপিং ও বোম্ব ডিসপোজাল টিম প্রস্তুত থাকবে। এছাড়াও আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনে হেলিকপ্টার ও ডগ স্কোয়াড নিয়োগ করা হবে।

৬. অগ্রগণ্যতার ভিত্তিতে ঝুঁকিপূর্ণ/গুরুত্বপূর্ণ আসন বিবেচনায় মোতায়েনের জন্য বিভিন্ন ব্যাটালিয়ন থেকে টহল দল গুরুত্বপূর্ণ/ঝুঁকিপূর্ণ আসন বিবেচনায় মোতায়েনের জন্য সার্বক্ষণিক প্রস্তুত থাকবে।

৭. বিশেষ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য র‌্যাব ফোর্সেস সদর দপ্তরের স্পেশাল ফোর্স সার্বক্ষণিক প্রস্তুত থাকবে।

৮. র‌্যাব ফোর্সেস সদর দপ্তরের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ৭টি জোনে বিভক্ত হয়ে মোতায়েনের জন্য সার্বক্ষণিক প্রস্তুত থাকবে।

৯. র‌্যাব ডগ স্কোয়াডের ১০টি দল র‌্যাব ফোর্সেস সদর দপ্তরে সার্বক্ষণিক প্রস্তুত থাকবে। এছাড়াও দেশব্যাপী বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট স্থাপন করে তল্লাশির মাধ্যমে নিরাপত্তা জোরদার করা হবে।

১০. নির্বাচন কমিশনের তথ্য ও গোয়েন্দা সূত্রে ঝুঁকিপূর্ণ আসনগুলোতে অধিক টহল নিয়োজিত রাখার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d