নির্বাচনের আগে ৭৮ এমপি দলছুট, বেকায়দায় ঋষি সুনাক
আগামী ৪ জুলাই যুক্তরাজ্যে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সম্ভাব্য নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পর প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক প্রথম শনিবার একটি ‘অস্বাভাবিক পদক্ষেপ’ নিয়েছেন। জনসম্পৃক্ততা ঘটতে পারে এমন অনুষ্ঠান থেকে দূরে গিয়ে ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সময় কাটিয়েছেন তিনি।
এনডিটিভি জানিয়েছে, পার্লামেন্ট থেকে কনজারভেটিভ পার্টির সদস্যদের গণপদত্যাগের মধ্যেই কিছুটা ব্যক্তিগত সময় কাটিয়েছেন ঋষি সুনাক। এই গণপ্রস্থানের মধ্যে ছুটির দিনে নির্বাচনের কৌশল নির্ধারণে ঋষি সুনাকের সময় ব্যয় করাকে অস্বাভাবিক হিসেবে দেখছেন অনেকে।
একটি সূত্র সুনাকের এই পদক্ষেপকে ‘হাস্যকর’ বলেছে। কেননা প্রধানমন্ত্রীরা সাধারণত নির্বাচনী প্রচারণার প্রথম সপ্তাহান্তে তার উপদেষ্টাদের সঙ্গে কথা বলার জন্য বাড়িতে সময় কাটান না।
এবারের নির্বাচন থেকে সর্বশেষ সরে দাঁড়াবার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মন্ত্রিসভার সদস্য মাইকেল গোভ ও আন্দ্রে লিডসম। এ নিয়ে নির্বাচনী দৌড়ে না থাকার ঘোষণা দেওয়া সদস্যদের সংখ্যা ৭৮ জনে পৌঁছেছে। গোভের পদত্যাগের চিঠিটি শুক্রবার সন্ধ্যায় সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। দেশজুড়ে পার্লামেন্টারি আসনগুলোয় টোরি পার্টির চ্যালেঞ্জের মধ্যেই এমনটি ঘটল।
এরপর লিডসম তার চিঠিটি প্রকাশ করেন। ঋষি সুনাকের উদ্দেশে তিনি লেখেন, ‘অনেক চিন্তা করেই আমি আসন্ন নির্বাচনে না দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ অন্যদিকে গৃহায়ণমন্ত্রী গোভ তার চিঠিতে লেখেন, ‘একটা সময় আসে, যখন আপনাকে সরে দাঁড়াতে হবে। নতুন প্রজন্মের নেতৃত্ব দেওয়া উচিত।’
এদিকে সরে দাঁড়ানোর তালিকায় জ্যেষ্ঠ এমপিদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেস ইতিমধ্যে ফ্রন্টলাইন রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
বিরোধী লেবার পার্টির এমপি স্টেলা ক্রিসি সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া পোস্টে বলেছেন, ঋষি সুনাকের মানসিক অবসাদ কাটাতে অতিরিক্ত ছুটি প্রয়োজন। ব্রিটেনেরও এখন একটি ভিন্ন সরকারের প্রয়োজন। তবে প্রধানমন্ত্রীর ঘরে সময় কাটানোর বিষয়টিকে উড়িয়ে দিয়েছেন কনজারভেটিভ পার্টির মন্ত্রী বিম আফোলামি। তার দাবি, ঋষি সুনাক উত্তর ইংল্যান্ডের নির্বাচনী এলাকা ইয়র্কশায়ারে প্রচারণায় দিন কাটিয়েছেন।
ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনাক ২০২২ সাল থেকে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে রয়েছেন। কিন্তু দেশটিতে উচ্চ মূল্যস্ফীতিসহ নানা কারণে ক্ষমতাসীন দলটি জনমত জরিপে অনেক পিছিয়ে রয়েছে।