পরকালের চিন্তা করে ট্রেনভ্রমণের টাকা পরিশোধ
দশ বছর বয়সে সোনাতলা উপজেলা থেকে বগুড়া শহরে ট্রেনে চড়ে এসেছিলেন বেলাল উদ্দিন (৬৪)। এরপর থেকে বহু দিন ট্রেন ভ্রমণ করেছেন এই পথে। বগুড়া শহরে পড়ালেখার সুবাদেও করতে হয়েছে ট্রেনে যাতায়াত।
এই ভ্রমণগুলোর অধিকাংশ ছিল বিনা টিকিটে। যার সঠিক সংখ্যাও মনে নেই বেলাল উদ্দিনের। কিন্তু জীবনের সায়াহ্নকালে অনুশোচনায় পড়েছেন তিনি। বাংলাদেশ রেলওয়ে বিভাগের কাছে টিকিট বাবদ বকেয়া সাত হাজার টাকা শোধ করেছেন এই বৃদ্ধ।
মঙ্গলবার (২১শে মে) দুপুরে বগুড়া রেলওয়ের স্টেশনের সুপারিন্টেন্ডেন্ট সাজেদুর রহমান সাজুর কাছে গিয়ে এই বকেয়া অর্থ পরিশোধ করেন তিনি।
বকেয়া টাকার হিসেব সম্পর্কে জানতে চাইলে বেলাল উদ্দিন বলেন, ডিপ্লোমা শেষে ১৯৮৩ সালে চাকরি শুরু করি। এর আগের ওই ১২ বছরে যদি সপ্তাহে আমার দুই বার যাতায়াত করে থাকি। এই হিসাবে ৫২ সপ্তাহকে ১২ দিয়ে গুণ করেছি। আবার সেটাকে ২ দিয়ে গুণ করার যা আসে সেটাকে ওই সময়ের ট্রেনের টিকিট মূল্য ৫ টাকা দিয়ে গুণ করে ৬ হাজার টাকার কিছু বেশি পরিমাণ পাওয়া গেছে। কিন্তু আমি সব মিলিয়ে ৭ হাজার টাকা পরিশোধ করেছি।
এ বিষয়ে বগুড়া রেলওয়ের স্টেশন মাস্টার সাজেদুর রহমান সাজু বলেন, বিষয়টি ভালো লাগার। তার জমা দেওয়া টাকা সরকারি কোষাগারে জমা হবে। ট্রেন আমাদের জাতীয় সম্পদ। অনেকেই বিনা টিকিটে ট্রেনে ভ্রমণ করে থাকেন। এটা কোনোভাবেই উচিত না। মাঝেমধ্যে অনেকে বিবেকের তাড়নায় এরকম টাকা পরিশোধ করে যান। এর সংখ্যা অবশ্য কম।