কক্সবাজার

পর্যটকদের টার্গেট করে নারীর ফাঁদ

কক্সবাজার হোটেল–মোটেল জোনে পর্যটকদের টার্গেট করে বসানো হয়েছে নারীদের ফাঁদ। এ অভিনব ফাঁদে ফেলে পর্যটকদের ব্ল্যাকমেইল করে সর্বস্ব হাতিয়ে নিচ্ছে কয়েকটি চক্র। এই অভিযোগ দীর্ঘদিনের। অভিযোগের প্রেক্ষিতে অপরাধী চক্রের খোঁজে মাঠে নামে ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিয়ন।

গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাতে কটেজ জোনে অভিযান পরিচালনা করে অপরাধী চক্রের ১৮ জনকে আটক করা হয়। তার মধ্যে ১১ জন পুরুষ ও ৭ জন নারী। তাদের বিরুদ্ধে পর্যটকদের ব্ল্যাকমেইল করে সর্বস্ব লুটে নেয়াসহ অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগ রয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ট্যুরিস্ট পুলিশ কঙবাজার রিজিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ।

তিনি বলেন, দীর্ঘদিন পর্যটক হয়রানির তথ্য অনুসন্ধান করে তারা জানতে পারে দালাল চক্র বিভিন্ন কৌশলে পর্যটকদের কটেজ জোনের রুমে নিয়ে যায়। পরে অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িত নারীদের দিয়ে ভিডিও করে তাদের ব্ল্যাকমেইল করে সর্বস্ব ছিনিয়ে নেয়। এতে অপরাধের অভয়ারণ্যে পরিণত হয় কটেজ জোন। যেখানে মাদকের ছড়াছড়ি হয়েছে বেশ। আটককালে এমন অপরাধের কথা স্বীকার করে অপরাধী চক্রের সদস্যরা। কটেজ জোনের ৬টি হোটেল চিহ্নিত করা হয়েছে। যেখানে এসব অপরাধ সরাসরি সম্পৃক্ততার প্রমাণ মেলে। চিহ্নিত হোটেলের মালিক এবং ম্যানজারদের বিরুদ্ধে তারা আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে বলে জানান তিনি।

আটক অপরাধ চক্রের সদস্যরা হলো– বৈদ্য, মোহাম্মদ রাকিব, মো. সাব্বির, মিজবাহ, মো. সাখাওয়াত হোসেন, মিজানুর রহমান, মো. রিয়াদ, মো. ইকবাল, সানি আলম, তৌহিদুল ইসলাম, ইয়ানুর রশিদ, কুলসুমা বেগম, মুক্তা আক্তার, তৈয়বা আক্তার, আকলিমা, ইমু, লামিয়া ও রিয়া মনি।

ব্রিফিংয়ে আরও জানানো হয়, দালাল চক্রের ৪০–৫০ জন সদস্য রয়েছে। যেখানে নারী রয়েছে ১২–১৩ জন। মূলত তারা দেশের নানা প্রান্ত থেকে নারীদের ফুসলিয়ে কঙবাজারে নিয়ে এসে এমন অসামাজিক কার্যকলাপে বাধ্য করে। এখানে রোহিঙ্গাও রয়েছে। তাদেরও চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে। আর যেসব কটেজ নাম ঠিকানাবিহীন, রেজিস্ট্রেশন ও কোনো সাইনবোর্ড নেই সেগুলো বন্ধ করে দেয়া হবে। মাদক, ছিনতাই, অপরাধের বিরুদ্ধে ট্যুরিস্ট পুলিশ সবসময় শক্ত অবস্থানে থাকবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d