জাতীয়

পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষের সূত্রপাত যেভাবে

রাজধানীতে বিএনপি-আওয়ামী লীগের সমাবেশকে কেন্দ্র করে আগে থেকেই উত্তাপ ছিলো সারা দেশে। প্রধান দুই দল এবং তাদের জোটভূক্ত দলগুলোর বিভিন্ন স্থানে সমাবেশ নিয়ে সতর্ক প্রহরায় ছিলো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

সকাল রাজনৈতিক দলগুলো তাদের সমাবেশের কার্যক্রম শুরু করে। এক পর্যায়ে দুপুরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে বিএনপি কর্মীদের। কিন্তু কীভাবে এই সংঘর্ষের সূত্রপাত।

যা ঘটেছিলো

ঘটনার সূত্রপাত হয়েছিলো দুপুর একটার পর। যখন আওয়ামী লীগের সমাবেশে যোগ দেয়ার জন্য গাজীপুর থেকে একটি বড় গাড়িবহর তেজগাঁওয়ের দিক থেকে এসে কাকরাইল মসজিদের সামনে দিয়ে বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেটের দিকে যাচ্ছিলো।

বাসগুলোকে দেখে বিএনপির উপস্থিত নেতাকর্মীসহ যারা বিএনপির পক্ষে বা সরকার বিরোধীদের পক্ষের সমাবেশে ছিলেন তারা উত্তেজিত হয়ে পড়েন এবং সেখান থেকে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করেন। পরবর্তীতে বাসগুলো যখন চলে যায়- তখন পুলিশের সাথে তাদের বাকবিতণ্ডা চলতে থাকে এবং এক পর্যায়ে তারা পুলিশের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করেন। এরপর পুলিশ ও বিএনপি এবং বিরোধীদের সংঘর্ষ শুরু হয়।

ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার একপর্যায়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশ বক্সে আগুন দেয়। তারা জাজেস কমপ্লেক্সের গেট ভেঙে ভিতরে ঢুকে ভাঙচুর করে এবং ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউটের মধ্যে বাসে আগুন দেন।

এরপর পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। কাকরাইল মসজিদের সামনে থেকে শুরু করে বিএনপির পল্টন কার্যালয় পর্যন্ত সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে থেকে পুলিশ বিএনপির সব নেতাকর্মীদের সরিয়ে দেয়। পুলিশ এসময় প্রচুর টিয়ারশেল, গুলি ও সাউন্ড গেনেট ছুড়েছে।

ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার এক পর্যায়ে বিভিন্ন ছোট ছোট গলিতে আশ্রয় নেয় বিএনপির নেতাকর্মীরা। সেখান থেকেই তাদের ইট-পাটকেল ছুড়তে দেখা যায়।

এক পর্যায়ে প্রধান বিচারপতির বাসভবসে হামলা চালায় বিএনপির কর্মীরা। আগুন ধরিয়ে দেয় রাজারবাগ পুলিশ লাইনস হাসপাতালে।

সংঘর্ষে এক পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছে। আহত হয়েছের প্রায় অর্ধ শতাথিক পুলিশ।

এদিকে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে পাল্টা পুলিশকে দোষারোপ করে রোববার দেশব্যাপী হরতাল ডেকেছে বিএনপি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d