পেঁয়াজের দামে নৈরাজ্য চলছে
পেঁয়াজের দামে নৈরাজ্য চলছে। খুচরায় কোনো দোকানে ২০০ টাকা। কোনো দোকানে ২২০-২৪০ টাকা। আবার কিছু দোকানে সাফ জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে- পেঁয়াজ নেই!
খাতুনগঞ্জের আড়তে পাইকারিতে বড় আকারের ভারতীয় পেঁয়াজ সর্বোচ্চ ১৮০ টাকা বিক্রি হয়েছে। গতকাল এ মানের পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ১১০ টাকা।
শনিবার (৯ ডিসেম্বর) সারাদিন পেঁয়াজের দাম ছিল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।
পেঁয়াজের বাজার তদারকিতে অভিযান চালিয়েছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। এতে নেতৃত্ব দেন উপপরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যাহ, সহকারী পরিচালক নাসরিন আক্তার ও রানা দেবনাথ।
মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যাহ বলেন, অভিযানে চৌমুহনীর কর্ণফুলী মার্কেটের ফারুক স্টোরকে ৩০ হাজার, আলিফ ট্রেডার্সকে ২০ হাজার টাকা, খাতুনগঞ্জের বরকত ভাণ্ডারকে ২০ হাজার, এ এইস ট্রেডার্সকে ১০ হাজার, এ কে ট্রেডার্সকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, সব দোকানকে পেঁয়াজের দাম কেনা দামের চেয়ে বেশি রাখায় জরিমানা করা হয়েছে।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, খাতুনগঞ্জের আড়তে পেঁয়াজ নেই বলা হলেও বাস্তবে ছিল। গতকাল যে পেঁয়াজ ১০০-১২০ টাকা বিক্রি হয়েছিল তার দাম হাঁকা হচ্ছে ১৮০ টাকা। আমরা গতকালকের দামে বিক্রি করতে বলেছি।
তিনি বলেন, ভারতীয় ও চীনা পেঁয়াজ কেনার রশিদ দেখাতে পারেনি আড়তদারেরা। তারা বলছে বেপারিরা যে দাম নির্ধারণ করে দেন সেই দামে বিক্রি করে কমিশন পান।
চেরাগি পাহাড়ে রিকশাভ্যানে পেঁয়াজ, রসুন, আদা বিক্রি করছিলেন খায়রুল আলম। তিনি জানান, বড় আকারের ভারতীয় পেঁয়াজ ২২০ টাকা বিক্রি করছি। আড়তে কেনা পড়েছে ২০০ টাকা।