লাইফস্টাইল

প্রতিদিনের যে ৪ অভ্যাসে বাড়ে ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি!

প্রতিদিনের যে ৪ অভ্যাসে বাড়ে ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি!

অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, স্ট্রেস, শরীরের দিকে একেবারেই খেয়াল না রাখা, অতিরিক্ত মদ্যপান — এগুলো অনেকেরই নিত্যদিনের জীবনাচরণ। এসব অভ্যাসের ফল হলো ফ্যাটি লিভার মতো অসুখ। মূলত লিভারের চারপাশে ফ্যাট জমার কারণেই ফ্যাটি লিভার হয়। আজকাল ছোট থেকে বড়, অনেকের মধ্যেই দেখা যাচ্ছে এই রোগ।

তবে শরীরে এই রোগ বাসা বাঁধলেও তা সহজে টের পাওয়া যায় না! ফলে অজান্তেই ফ্যাটি লিভার, লিভার সিরোসিসের মতো প্রাণঘাতী রোগের কারণ হয়ে উঠতে পারে। তাই সময় থাকতেই সতর্ক হওয়া দরকার।

দৈনন্দিন জীবনের কোন কোন বদভ্যাসে ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি বাড়ে তা তুলে ধরা হয়েছে লাইফস্টাইল বিষয়ক এক ওয়েবসাইট।

অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস : অস্বাস্থ্যকর ফ্যাট এবং অত্যধিক ক্যালোরি সমৃদ্ধ খাবারা ফ্যাটি লিভারের অন্যতম কারণ। চিনিযুক্ত পানীয়, জাঙ্ক ফুড, প্রক্রিয়াজাত খাবার, ফাস্ট ফুড, স্ট্রিট ফুড অতিরিক্ত খেলে লিভারে চর্বি জমতে পারে। এ ছাড়া, অতিরিক্ত চিনি খাওয়ার অভ্যাস আমাদের লিভারের ব্যাপক ক্ষতি করে। ফ্রুকটোজ হোক কিংবা কৃত্রিম চিনি, উভয়ই লিভারের অসুখ ডেকে আনে। লিভার সুস্থ রাখতে হলে টাটকা ফলমূল, শাকসবজি, লিন প্রোটিন এবং গোটা শস্য সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া অপরিহার্য।

এক্সারসাইজ না করা : শরীরচর্চার অভাবেও কিন্তু ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি বাড়ে। মোটা হয়ে যাওয়া বা ওবেসিটি ফ্যাটি লিভারের জন্য দায়ী হতে পারে। বিশেষ করে পেটের চারপাশে অতিরিক্ত চর্বি থাকলেই লিভারের এই রোগ দেখা দিতে পারে। তাই লিভার সুস্থ রাখতে গেলে প্রতিদিন সময় করে এক্সারসাইজ, যোগব্যায়াম করা জরুরি। নিয়মিত ব্যায়াম করলে শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকার পাশাপাশি অনেক রোগ থেকেও বাঁচায়।

অতিরিক্ত অ্যালকোহল : সেবন অতিরিক্ত অ্যালকোহল গ্রহণ লিভারের টক্সিন বের করার ক্ষমতাকে ধীরে ধীরে নষ্ট করে দেয়। যার ফলস্বরূপ লিভারে প্রদাহ, সিরোসিস এবং ফ্যাটি লিভারের মতো সমস্যা দেখা দেয়। মাত্রাতিরিক্ত হারে মদ‍্যপান করার ফলে লিভারে মেদ জমার এই সমস‍্যাকে ‘অ‍্যালকোহল রিলেটেড ফ্যাটি লিভার ডিজিজ’ বলে।

ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিস : ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স এমন একটি অবস্থা যেখানে শরীরের কোষগুলো ইনসুলিনের প্রতি সঠিকভাবে সাড়া দেয় না, যা ফ্যাটি লিভারের অন্যতম কারণ। কোষগুলো যখন ইনসুলিন প্রতিরোধী হয়ে ওঠে, তখন অগ্ন্যাশয় থেকে আরও ইনসুলিন উৎপন্ন হয়। এই অতিরিক্ত ইনসুলিন লিভারে চর্বি জমা বাড়াতে পারে। এটি টাইপ ২ ডায়াবেটিসের দিকে নিয়ে যেতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d