প্রস্তাবিত বাজেটে গরিব মানুষের জন্য কোনো সুখবর নেই: ডা. শাহাদাত
মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেটে সাধারণ ও গরিব মানুষের জন্য কোনো সুখবর নেই। এটি বাস্তবতা বিবর্জিত, প্রতারণামূলক, লোক দেখানো বাজেট।
বাজেটে সর্বগ্রাসী দুর্নীতি ও অর্থ পাচার প্রতিরোধে কোনো দিকনির্দেশনা নেই। ক্ষমতার বলয়ের বাইরে সাধারণ মানুষের অনুকূলে এই বাজেট কোনো ভূমিকা রাখবে না। এটা গণবিরোধী বাজেট।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বিকেলে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রস্তাব্তি বাজেটে দেশের চরম অর্থনৈতিক সংকট উত্তরণের কোনো দিকনির্দেশনা নেই জানিয়ে ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, বর্তমান সরকারের আশ্রয়ে প্রশ্রয়ে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার লুটের লক্ষ্যে প্রণীত অর্থ লুটেরাদের বাজেট। এটা একটা অসম বাজেট। আড়াই লাখ কোটি টাকার এত বড় ঘাটতি বাজেট দিয়ে স্বপ্নপূরণ করা সম্ভব নয়। যেসব খাত থেকে বাজেট পূরণ করার কথা বলা হচ্ছে, সেটা চ্যালেঞ্জিং। এই বাজেট মুখ থুবড়ে পড়তে বাধ্য। মূল্যস্ফীতি ও দেশি-বিদেশি ঋণের দেনা পরিশোধের চাপে এ বাজেট আর্থিক সংকট, ঋণ নির্ভর ও ঘাটতিসহ বহুমুখী চ্যালেঞ্জের বাজেট। ঋণ ও ঘাটতিভিত্তিক বড় বাজেট অতীতে বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি আগামীতেও সম্ভব হবে না। একটি অনির্বাচিত সরকারের উপর করদাতারা আস্থা রাখে না, যার ফলে নিয়ন্ত্রক সংস্থাসমূহ প্রয়োজনীয় কর আদায় করতে পারে না। যথেষ্ট রাজস্ব আদায় না হওয়ার কারণে এ বছরের বাজেট হবে আরও বেশি ঋণ ও ঘাটতিনির্ভর।
তিনি আরও বলেন, বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধি, মুদ্রাস্ফীতি ও বিনিয়োগসহ সামষ্টিক অর্থনীতির যেসব প্রক্ষেপণ করা হয়েছে তা অর্জনযোগ্য নয়। দেশের চরম অর্থনৈতিক সংকটের সময়ে অর্থনীতি ও সাধারণ মানুষের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপ। এই চাপ মোকাবিলায় প্রস্তাবিত বাজেটে তেমন কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেই। বিদু্ৎ, জ্বালানি সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্য অনেক আগেই মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। বর্তমানে ডলারের সংকট প্রকট। পণ্য আমদানির জন্য ঋণপত্র (এলসি) খুলতে গেলে প্রায় সব ব্যাংক ফিরিয়ে দিচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ প্রায় তলানিতে এসে ঠেকেছে।