ফটিকছড়ি-নাজিরহাট পৌরসভা: জনপ্রতিনিধিদের অনুপস্থিতিতে নাগরিক ভোগান্তি
শেখ হাসিনার দেশ ছাড়ার পর থেকে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি ও নাজিরহাট পৌরসভার মেয়র এবং প্যানেল মেয়র ও কাউন্সিলরদের অনুপস্থিতিতে দুই পৌরসভার সেবা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। নাগরিকরা কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এবং ট্রেড লাইসেন্স, জাতীয়তার সনদ, প্রত্যয়ন ও জন্ম-মৃত্যু সনদের কার্যক্রমসহ সব ক্ষেত্রে স্থবিরতা বিরাজ করছে।
নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি না থাকায় সেবা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন সাধারণ মানুষ। যদিও প্রশাসক নিয়োগের পর কিছু কার্যক্রম সচল হয়েছে, তবে সেবা গ্রহণে এখনও সমস্যা রয়ে গেছে বলে জানান দুই পৌরবাসী।
দুই পৌরসভার ২৪ জন কাউন্সিলরের মধ্যে মাত্র ৯ জন কার্যালয়ে আসছেন, যার ফলে বিভিন্ন কাজের মনিটরিং না হওয়ায় এর প্রভাব পড়ছে সাধারণ মানুষের ওপর। পৌরবাসীরা অভিযোগ করেছেন যে, কাউন্সিলরদের অনুপস্থিতিতে নাগরিক সনদ, জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধনসহ ১৭ ধরনের সনদ ইস্যু করা সম্ভব হচ্ছে না।
নাজিরহাট পৌরসভার পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নুরুল আবছার জানিয়েছেন, উন্নয়ন কার্যক্রমসহ সব সেবা কার্যক্রম চলমান রয়েছে, তবে কিছু কাউন্সিলরের অনুপস্থিতির কারণে কিছু কিছু কাজে সমস্যা হচ্ছে।
উপজেলার শিক্ষাবিদ মো. শামীমুল হাসান মনে করেন, প্রশাসক নিয়োগের পরেও তাদের সঙ্গে জনগণের যোগাযোগ কম থাকায় বিভিন্ন কাজে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও ফটিকছড়ি পৌরসভার প্রশাসক মো. মেজবাহ উদ্দিন জানিয়েছেন, তারা মানুষের প্রত্যাশা পূরণে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন এবং কাউন্সিলরদের দায়িত্ব পালনের বিষয়টি সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী চূড়ান্ত হবে।
এই পরিস্থিতিতে ফটিকছড়ি ও নাজিরহাট পৌরসভার নাগরিক সেবা কার্যক্রম স্বাভাবিক করতে এবং জনদুর্ভোগ লাঘব করতে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি হয়ে পড়েছে।