ফুটপাত দখলকারীরা কীভাবে বিদ্যুৎ পায়, প্রশ্ন মেয়র রেজাউলের
চট্টগ্রাম: অবৈধভাবে ফুটপাতে দোকান বসানো ব্যক্তিরা কীভাবে বিদ্যুতের লাইন পেল? আমরা বিদ্যুৎ বিভাগকে প্রতি মাসে কোটি টাকা বিল দিই। আমাদের কোনো প্রতিষ্ঠানের দুই-তিন মাস বিল বাকি থাকলে লাইন কেটে দেন।
কোনো বাসায় বিদ্যুতের লাইন দিতে গেলে তো অনেক দলিল খোঁজেন। আমার প্রশ্ন ফুটপাত দখলকারীরা কীভাবে বিদ্যুতের লাইন পায়? অবৈধ দখলদারদের বিদ্যুতের লাইন পেলে কেটে দেব, জেনারেটর পেলে জব্দ করব।
ক’দিন আগে আগ্রাবাদে দেখলাম ঝুলন্ত তারের জঞ্জালে আগুন জ্বলছে। পিডিবিকে বিদ্যুতের পিলারে যাতে ডিশ-ইন্টারনেটের কেবলের জঞ্জালে পরিণত না হয় সে বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে হবে। পিডিবির প্রতিনিধির উদ্দেশে চসিক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী এসব প্রশ্ন করেন।
মেয়র বলেন, নগরবাসীকে সড়কে নিরাপদে হাঁটার অধিকার ফিরিয়ে দিতে নিউমার্কেটসহ বিভিন্ন এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছি। আমি জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে আলাপ করেই মাঠে নেমেছি। কোনো প্রভাব-প্রতিপত্তি-চাপ দিয়ে আমাকে থামানো যাবে না। কোনো চাপে আমি নত হবো না, উচ্ছেদ অভিযান চলবে। হকাররা ব্যবসা করুক আমারতো আপত্তি নেই। কিন্তু ফুটপাত দখল করে কেন হকার বসবে? হলিডে মার্কেট করে দেব ওখানে শুক্র-শনিবার হকাররা ব্যবসা করুক। কিছু কুচক্রী মহল ছাড়া রাস্তা-ফুটপাত উদ্ধার হওয়ায় সবাই খুশি।
ফুটপাত রক্ষায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীসহ সবার সহযোগিতা চেয়ে মেয়র বলেন, ফুটপাত রক্ষায় পুলিশ, র্যাব, সাংবাদিকদের সহযোগিতা চাই। আমার তো কোনো ফোর্স নেই। আপনাদের সহযোগিতা লাগবে। আমরা যেখানে উচ্ছেদ করছি সেখানে সংশ্লিষ্ট থানা একটু মনিটরিং করলেই তো ভয়ে আর কেউ বসবে না। আমরা সবাই মিলে কাজ করলে ছয় মাসের মধ্যে শহরের চেহারা বদলে যাবে। অপরাধও কমে যাবে। নিউমার্কেট মোড়ে দেখেন, অভিযান চালানোর পর ছিনতাই কমে গেছে। আপনাদের বলব, কোনো প্রভাবশালী ব্যক্তি যাতে আমাদের দমাতে না পারে।
নিউমার্কেটে কী একটা বিশ্রী অবস্থা। অভিযান চালাতে গিয়ে দখলদারদের হামলায় আমার ম্যাজিস্ট্রেট, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আহত হয়েছে। পুলিশ আহত হয়েছে। হামলাকারীদের প্রতি কোনো অনুকম্পা নেই। অনেকে বলে হকার পুনর্বাসন। জহুর হকার মার্কেটতো আমরাই করেছি। আমি তখন ছাত্রনেতা ছিলাম। হকার পুনর্বাসনে কোনো সুফল আসে না। পুনর্বাসন করবেন, এরা দোকানগুলো বিক্রি করে আবার রাস্তায় চলে আসবে।