বাঁশখালীতে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ৮ মেম্বারের অনাস্থা
বাঁশখালীর পুকুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসহাব উদ্দীনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে ৮ জন ইউপি সদস্য অনাস্থা প্রস্তাব দিয়েছেন।
একইসাথে দ্রুত তাকে অপসারণের দাবি জানিয়ে বুধবার (৬ মার্চ) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেসমিন আক্তার বরাবর লিখিতভাবে অনাস্থা প্রস্তাব দেওয়া হয়।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পুকুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসহাব উদ্দীন নামে-বেনামে বহিরাগতদের জন্ম নিবন্ধন সনদ প্রদান ও নতুন ভোটার হতে সহযোগীতা করা, ওমর আলী সড়কের ইট আত্মসাৎ, পরিষদের সদস্যদের না জানিয়ে বিভিন্ন নামে-বেনামে প্রকল্প দিয়ে সরকারী অর্থ আত্মসাৎ করা, উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী হতে বরাদ্দকৃত সাবমার্সিবল পাম্প ইউপি সদস্যদের না জানিয়ে সরকারি নিয়ম না মেনে পছন্দনীয় ব্যক্তিকে দিয়ে স্বজনপ্রীতি করা, ট্রেড লাইসেন্স, বিভিন্ন প্রত্যয়নপত্র, বিভিন্ন ছাড়পত্র হতে আদায়কৃত অর্থ আত্মসাৎ করা, বিভিন্ন সভার স্বাক্ষর জাল করে রেজুলেশান করা, প্যানেল চেয়ারম্যান গঠন না করা, আমাদের জ্ঞাতসারে বিভিন্ন কমিটি না করা, ইউনিয়ন উন্নয়ন ফান্ড তহবিল এর প্রকল্প টেন্ডার প্রক্রিয়া ছাড়া নিজের পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ দিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করা, ইউপি মেম্বারদের সাথে অসধাচারণ ও গালিগালাজ করা, আবেদনের ছয়মাস পরেও যাবতীয় আয়-ব্যয় এর হিসাব না দেওয়ার অভিযোগ তোলা হয়। এছাড়া প্রায় ২৬০০ নতুন ভোটারের প্রতিজন থেকে ৬০০ টাকা হারে আদায় ১৫ লাখ টাকা আত্নসাৎ করা হয়েছে বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
এসব ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে ইউপি সদস্য মনির উদ্দীন, রয়ন জন্নাত, মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ, মোহাম্মদ ইউনুছ, হাবিবুর রহমান, আমজাদ হোসেন, মোহাম্মদ ফারুকুজ্জামান, মামুনুর রশীদ অনাস্থা দিয়েছেন।
অভিযোগদাতা ইউপি সদস্য মনির উদ্দীন বলেন, আমাদের কোনো মতামতকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে না। চেয়ারম্যান তার খেয়ালখুশি মতো পরিষদ চালাচ্ছেন। অবিলম্বে আমরা এই দুর্নীতিবাজ চেয়ারম্যানকে অপসারণের দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে পুকুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসহাব উদ্দীন বলেন, এসব আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। আর সাংবাদিককে বলি একটা লিখে আরেকটা।