বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক কীভাবে আরও সুদৃঢ় হবে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে
সামনের দিনে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক কীভাবে আরও সুদৃঢ় হবে সেটা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু’র সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
বুধবার (১৫ মে) দুপুরে সচিবালয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু’র নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।
সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, আমরা ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলেছি। অতীতের কোনো বিষয় নিয়ে কথা হয়নি। বাংলাদেশ এবং আমেরিকার যে সম্পর্ক আছে, এটাকে কীভাবে আগামী দিনে আরও এগিয়ে নিতে পারি সে বিষয়ে কথা হয়েছে। যে বিষয়গুলোতে আমাদের অবস্থান ভিন্ন যেমন জলবায়ু পরিবর্তন এবং সেটার অভিঘাত মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এবং আমেরিকা কীভাবে আরও কাজ করতে পারে, মূলত আমরা সেটা নিয়ে আলাপ করেছি।
তিনি বলেন, যখনই আমরা জলবায়ু নিয়ে কথা বলি পরিবেশের বিষয়টা চলে আসে। পরিবেশ, বন এবং জীববৈচিত্র্য। আমরা চাচ্ছি আমাদের আগামী দিনের যে সহযোগিতা সেটাকে হয়ত আমরা একটা কাঠামোর মধ্যে আনা চেষ্টা করব। আমাদের ওয়ার্কিং গ্রুপের মতো কিছু একটা থাকতে পারে। আমরা তিন/চার অথবা পাঁচ বছরের একটা কর্মসূচি নেব। প্রতিবছরের সেই কর্মসূচির অধীনে আমরা কী কী কাজ করব সেটা থাকবে।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, আমরা যেটা বলেছি জলবায়ু অর্থায়নের যে বিষয়টা আছে, সেখানে বিশেষ করে বিশ্ব ব্যাংক আছে, এডিবি আছে, আগামী দিনে তারা কীভাবে অর্থায়ন করবে জলবায়ুতে, সেটা একটা বড় বিষয়। কেননা আমরা যদি প্যারিস চুক্তির আলোকে দেখি সেখানে চাহিদাটা ছিল বিলিয়ন ডলারের। এখন চাহিদা চলে যাচ্ছে ট্রিলিয়ন ডলারে। এখন ট্রিলিয়ন ডলার তো আর কোনো সরকারের কাছ থেকে আসবে না। মূলত আসবে এই ধরনের ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং বেসরকারি খাত থেকে৷
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, দুদেশের মধ্যে সম্পর্কের কিছু বিষয় আছে যার একটা স্থায়িত্ব থাকে। আবার কিছু কিছু বিষয় তৈরি হতে পারে যেটা বিশেষ একটা প্রেক্ষাপটে কিছু তাদের অবস্থান থাকতে পারে। আমরা আজকে যেটা আলাপ করেছি আমাদের যে মৌলিক বিষয়গুলো আছে, যেগুলো আমরা মনে করি অভিন্ন সেগুলো নিয়ে আলোচনা করেছি।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনের আগে তাদের একটা দৃষ্টিভঙ্গি ছিল। তাদের হয়ত কিছু অস্বস্তি ছিল কিন্তু সেটা তো আমাদের মধ্যে ছিল না। আমরা আমাদের নির্বাচন করেছি। সেটা ওই সময়ের জন্য তাদের একটা অবস্থান ছিল। আমি এভাবে দেখি৷ এখন তো ওই পর্বটা আর নেই। আবার নির্বাচন হবে চার বা সাড়ে চার বছর পরে। তো এখন তো নির্বাচনের বিষয়টি এই আলোচনায় ভ্যালিডেড না। আর আমি প্রথমেই বলেছি, আমরা সামনের দিকে কীভাবে আমাদের সম্পর্কটাকে আরও সুদৃঢ় করব, সেটা নিয়েই মূলত কিন্তু আলোচনা করেছি।