বাংলাদেশকে গরীবের সুন্দরী বউ মনে করলে চলবে না: কাদের সিদ্দিকী
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম বলেছেন, আমাদের ছোট দেশ বলে গরিব মানুষের সুন্দরী বউয়ের মতো যে যা খুশি তাই করবে, এটা হতে পারে না, এটা চলতেই পারে না।
তিনি বলেন, আমেরিকার রাষ্ট্রদূতের এত বাংলাদেশে দৌড়াদৌড়ি ভালো না। এটা তার দেশের ইলেকশন না, ইলেকশন আমাদের দেশের। সংলাপের জন্য তিনটি দলকে চিঠি দিয়েছেন। বাংলাদেশে আর মানুষ নাই? আর দল নাই? তিনিই তো তিনটি দলকে চিঠি দিয়ে দেশকে বিভক্ত করেছেন। এটাই তো তার গর্হিত অন্যায়। এ জন্যই তো তার শাস্তি পাওয়া উচিত, স্যাংশন পাওয়া উচিত বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে।
শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সকালে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, এই তিনটি দলকে চিঠি দিয়ে অন্যায় করেছে। তাই তাকে দেশের সংবিধান অনুযায়ী আইনের আওতায় আনা যেতে পারে।
তিনি বলেন, আমেরিকার সমর্থন নেওয়া বিএনপিকে মুসলমানের ভোট দেওয়া উচিত না। ইসরায়েল যেভাবে গাজার ওপর অত্যাচার করছে, মুসলমানদের হত্যা করছে। বৃদ্ধ, শিশুকে হত্যা করছে, এই অবস্থায় আমেরিকাকে একটুও ছাড় দেওয়া উচিত না।
‘নির্বাচনে গেলে স্যাংশন আসারও সম্ভাবনা রয়েছে’ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের এমন বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে কাদের সিদ্দিকী বলেন, আমরা আমেরিকায় বাস করি না, বাংলাদেশে বাস করি। আমেরিকা স্যাংশন দেবে এই ভয়ে আমরা বিয়ে করব না, বউ তালাক দেব, মেয়ের বিয়ে হবে না, ছেলের বিয়ে করাব- এটা চিন্তাভাবনা করা উচিত না। এটা জাতীয় পার্টির জি এম কাদের জীবনের একটি শ্রেষ্ঠ ভুল কথা বলেছেন।
তফসিল নিয়ে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা হয়েছে—এটা নিয়ে অনেকে খুশি না। আমি নিজেও খুশি না। কিন্তু এরপরও বলব একটি গণতান্ত্রিক দেশে পাঁচ বছর পরপর অবাধ-সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ-প্রভাবমুক্ত নির্বাচন হওয়া দরকার, বঙ্গবন্ধু নিজে বলেছেন সকল প্রকার প্রভাবমুক্ত নির্বাচন করতে হবে। আমি বলব, এখন সরকার নাই—এখন সরকার নির্বাচন কমিশন।
কাদের সিদ্দিকী আরও বলেন, গতবারের মতো ভোটারহীন ভোট হলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের। সব থেকে বেশি ক্ষতি হবে বাংলাদেশের। এর থেকে বেশি ক্ষতি হবে আমার বোন শেখ হাসিনার।
এ সময় তার সঙ্গে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।