বাড়ছে বেকারত্বের হার, সরকারি পদ খালি প্রায় ৫ লাখ
বাড়ছে বেকারত্বের হার, সরকারি পদ খালি প্রায় ৫ লাখসরকারি নানা দপ্তরে পদ খালি প্রায় ৫ লাখ। অথচ প্রতি বছরই বাড়ছে বেকারত্বের হার। শিক্ষা গবেষকেরা বলছেন, নিয়োগে দীর্ঘসূত্রিতা, বেসরকারি খাতে নতুন কর্মসংস্থান তৈরি না হওয়াসহ নানা কারণে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দাবি, পুরোদমে নিয়োগের কাজ শুরু করেছে।
পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাবে দেশে এখন বেকার ২৫ লাখ ৯০ হাজার। গত বছর তা ছিল ২৪ লাখ ৭০ হাজারে। এক বছরে বেড়েছে ১ লাখ ২০ হাজার। অন্যদিকে সরকারি দপ্তরে পদ খালি আছে ৫ লাখের মতো। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে ১৯ লাখ ১৫১ পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন ১৩ লাখ ৯৬ হাজার ৮১৮ জন।
চাকরি প্রার্থীরা বলছেন, বেশির ভাগ নিয়োগ শেষ হতেই লেগে যাচ্ছে ৪ থেকে ৫ বছর। কিছু পদে আবার আবেদনের পর পরীক্ষার জন্যই অপেক্ষা করতে হয় ৩ থেকে ৪ বছর।
এক চাকরি প্রার্থী বলেন, ‘যে পরীক্ষাগুলো হয় সেগুলোর নিয়োগের ভেরিফিকেশন বলেন বা অন্যান্য যে কার্যক্রমগুলো আছে এগুলো দেখবেন যে চাকরি পাওয়ার পরেও এক–দুই বছর লেগে গেছে।’
এই অবস্থায় চলতে থাকলে বেকারত্বের হার আরও বাড়বে বলে সতর্ক করছেন শিক্ষা গবেষকেরা। বলছেন, শুধু দ্রুত নিয়োগ নয়, সংকট থেকে বেরিয়ে আসতে বেসরকারি খাতে কর্মসংস্থান তৈরি করতে হবে। উদ্যোক্তা হতে তরুণদের জন্য তৈরি করতে হবে অনুকূল পরিবেশ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, ‘সরকারি যেখানে যেখানে পদ খালি আছে সেসব পদে লোক নিলেই তো কাজ হবে, কাজ হলে সেটাও তো উন্নয়ন। কাজ হলে জিডিপি বাড়বে।’
এদিকে নিয়োগ বিলম্বের জন্য করোনাকে কারণ বলছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এখন তা পুরোদমে চলছে উল্লেখ করে জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন মন্ত্রী জানিয়েছেন, চাকরির পরীক্ষা এগিয়ে আনতেও সচেষ্ট তাঁরা।
মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘সরকারি যে শূন্য পদগুলো আছে, সেগুলো যথাযথ সময়ে নিয়োগ দিয়ে চাকরির ব্যবস্থা করে দেওয়া এবং এটি আমরা অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে আমাদের কার্যক্রমের সঙ্গে রাখব।’