বান্দরবান সীমান্তে আশ্রয় নিল বিজিপির আরও ১৪৬ সদস্য
বান্দরবান সীমান্তে নতুন করে আরও ১৪৬ জন মায়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) সদস্য আশ্রয় নিয়েছে।
সোমবার (১১ মার্চ) বিকেলে নাইক্ষ্যংছড়ির ৪৬ নম্বর পিলারের কাছে জামছড়ি সীমান্তে আশ্রয় নেয় তারা।
তাদেরও নিরস্ত্র করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি। এ নিয়ে মোট ১৭৫ জন বিজিপির সদস্য বাংলাদেশ আশ্রয় নিল।
এর আগে, সকালে ২১ নম্বর পিলারের কাছে সীমান্ত দিয়ে ২৯ জন বাংলাদেশে প্রবেশ করে। তাদের নিরস্ত্র করে নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটেলিয়ান সদরে নিয়ে আসা হয়েছে। তবে নতুন করে আশ্রয় নেওয়া বিজিপির সদস্যদের কোথায় নিয়ে যাওয়া হবে এ বিষয়ে এখনো জানা যায়নি। নতুন করে আশ্রয় নেওয়া বিজিপির সদস্যের মধ্যে একজন গুলিবিদ্ধ ও একজন আহত রয়েছে। তাদের বিজিবি চিকিৎসা দিচ্ছে। এছাড়া অন্যান্যদের খাদ্যসহ অন্যান্য সহায়তা দিচ্ছে বিজিবি।
স্থানীয়রা জানান, সীমান্তের ৪৫ নম্বর পিলার এলাকার জামছড়ি দিয়ে সকালে ২৯ জন বিজিপি সদস্য প্রবেশ করে। তাদের নিরস্ত্র করে নিরাপদ জায়গায় রাখা হয়। পরে বিকেলে নতুন করে আরো ১৪৬ জন সদস্য প্রবেশ করে. এদের মধ্যে একজন গুলিবিদ্ধ ও একজন আহত রয়েছে।
এদিকে, এ ঘটনায় বিজিবির নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটেলিয়ানের অধিনায়কসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এলাকা পরিদর্শন করেছেন। তবে নতুন করে অনুপ্রবেশ করা বিজিপি সদস্যদের কোথায় রাখা হবে এ বিষয়ে এখনো জানা যায়নি।
বিজিবি ও স্থানীয়রা জানিয়েছে, মায়ানমারের ঢেকু বুনিয়ার অভ্যন্তরে সে দেশের বিচ্ছিন্নতাবাদী আরাকান আর্মির সাথে সংঘর্ষে টিকতে না পেরে বিজিপির সদস্যরা বাংলাদেশের সীমান্তের নো ম্যান্স ল্যান্ডে আশ্রয় নেয়। পরে জামছড়ি বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা তাদের নিরস্ত্র করে বাংলাদেশের সীমান্তে আশ্রয় দেয়।
বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন জানিয়েছেন, সকালে সীমান্ত দিয়ে ২৯ জন বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। ১৪৬ জনের আশ্রয় নেওয়ার বিষয়টি এখনো আমাদের কাছে তথ্য আসেনি। এদিকে বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ১৭৫ জনের আশ্রয় নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
উল্লেখ্য, এর আগে বান্দরবানের তুমব্রু ও ঘুনধুম সীমান্ত দিয়ে মায়ানমার থেকে ১০১ জন বিজিপি সদস্য বাংলাদেশ আশ্রয় নিয়েছিল। পরে তাদের মায়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়।