বায়ু দূষণ বাড়াচ্ছে ক্যান্সারের ঝুঁকি
বায়ু দূষণের কারণে মানুষের রক্তে ক্রোমিয়াম, ক্যাডমিয়াম ও সীসার পরিমাণ স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে ১০ গুণ বাড়ছে। এই ভারি বস্তুকণা ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলছে বলে মনে করছেন গবেষকরা। তারা বলছেন, কিডনি, উচ্চরক্ত চাপ ও ফুসফুসেরও ক্ষতি করছে বায়ু দূষণ।
প্রতিটি নিঃশ্বাসে লক্ষ-কোটি বিষাক্ত বস্তু কণা ঢুকছে শরীরে। মিশে যাচ্ছে রক্তে আর মানুষের মস্তিষ্কে। নীরব ঘাতক হয়ে ধীরে ধীরে শরীরে বাসা বাঁধছে রোগবালাই।
অফিস আদালত, শিল্পকারখানা, কোথাও নেই নির্মল বাতাস। সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, শরীরে ক্যান্সার তৈরি করে এমন বস্তুকণাও (কারসেনোজেনিক) নিঃশ্বাসের সাথে মানুষের রক্তে মিশে যাচ্ছে। ক্যাডমিয়াম, ক্রোমিয়াম, সীসাসহ বাতাসে থাকা প্রতিটি বস্তু কণাই স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে ৫ গুণ বেশি। এসব ক্ষতিকর বস্তুকণা তৈরি হচ্ছে মূলত, শিল্পকারখানার দূষিত বায়ু, ট্যানারির বর্জ্য, ইট ভাটার দূষণ, অপরিকল্পিতভাবে রাস্তাঘাট ও মেগা প্রকল্প নির্মাণ আর গাড়ির কালো ধোয়া থেকে।
গবেষকরা বলছেন, তিন স্তরের মানুষের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। উচ্চমাত্রায় মিলেছে ক্যান্সার সৃষ্টি করা এই বস্তুকণা।
দূষিত বাতাস সেবন করায় শুধু ক্যান্সার নয়, কিডনি রোগ বাড়ছে। ফুসফুস, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিসের মত রোগের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দিচ্ছে অতিরিক্ত বায়ু দূষণ। মস্তিষ্কে মিশে ব্রেনের কার্যক্ষমতা কমিয়ে দিচ্ছে। দূষণের কারণে গর্ভে থাকা শিশুরা জন্মগতভাবেই নানা রোগ নিয়ে পৃথিবীতে আসছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও বায়ুর গুণগত মান বিষয়ক বিশেষজ্ঞ আব্দুস সালাম বলেন, বিভিন্ন রোগের কারণ বায়ু দূষণ। ব্রেনের বিভিন্ন সেলেও কার্যক্ষমতা বন্ধ করে দিতে পারে এ দূষণ।