বিএনপির নেতা কে, কাকে প্রধানমন্ত্রী করবে, প্রশ্ন শেখ হাসিনার
ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রশ্ন তুলেছেন, নির্বাচন করলে বিএনপি কাকে নেতা বানাবে? কাকে প্রধানমন্ত্রী করবে? কাকে দিয়ে মন্ত্রিসভা করবে?
শুক্রবার (৩ নভেম্বর) বিকেলে জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব প্রশ্ন রাখেন তিনি।বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ এর নির্বাচনেই তো পেয়েছিল মাত্র ২৯ সিট। আর এখন ওদের অপকর্মের জন্য মানুষ তো আরও ওদের ওপর বিমুখ। আর নির্বাচন কাকে দিয়ে করবে, নির্বাচন করলে তাদের নেতা কে? কাকে প্রধানমন্ত্রী করবে? কাকে দিয়ে মন্ত্রীসভা করবে? বিএনপির চেয়ারপারসন সে তো এতিমের অর্থ আত্মসাতের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত, আর এখন তো অসুস্থ। তার বোন, ভাই, বোনের জামাই আমার কাছে এসেছে, দেখা করেছে, কান্নাকাটি করেছে। আমি তার সাজা স্থগিত করে বাসায় থাকার এবং তার ইচ্ছামতো চিকিৎসা করার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। যে আমাকে বার বার হত্যা করার চেষ্টা করেছিল, আমার বাবা, মা, ভাইদের হত্যা করেছিল। ওই হত্যার সঙ্গে তো জিয়াউর রহমান যেমন দায়ী, পরিবারটাই তো দায়ী। তার পরেও তার পরিবার এসে কান্নাকাটি করল, আমি দিলাম। কিন্তু যে ছেলে (তারেক রহমান) একটা কুলাঙ্গার পয়দা করে থুয়ে (রেখে) গেছে জিয়াউর রহমান। বাংলাদেশে সন্ত্রাস-চোরাকারবারির একটা স্বর্গ রাজ্য তৈরি করেছিল। মানিলন্ডারিংয়ের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত (তারেক)।
বিএনপি-জামায়াতকে অগ্নিসন্ত্রাসী উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, একথা মনে রাখতে হবে আজ যে বিএনপির অগ্নিসন্ত্রাস, তাদের যে বীভৎস চেহারা, তারা যে পিটিয়ে পিটিয়ে পুলিশ হত্যা করে। একটা নিরীহ পুলিশ সে চাকরি করে তার কি অপরাধ ছিল যে তাকে ওইভাবে, অমানবিকভাবে হত্যা করল! একবারই না, ২০১৩ সালে একই ঘটনা ঘটিয়েছে, ২০১৪ সালে নির্বাচন বানচাল করার জন্য সেই একই ঘটনা ঘটিয়েছে,২০১৫ তে ঘটিয়েছে। হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করা, আগুনে পোড়ানো, গাড়ি, অফিস-আদালত, রেল, লঞ্চ, কি বাদ দিয়েছে তারা? সবই আগুন দিয়ে, অগ্নিসন্ত্রাস করে, হাজার হাজার গাছ কেটে, রাস্তা কেটে একটা ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছিল। বাংলাদেশের জনগণ যখন প্রতিরোধ করেছে তখনই তারা থেমেছে।
সরকারপ্রধান বলেন, আজকেও আমি বলব এখন সময় এসে গেছে, এই অগ্নিসন্ত্রাসী যে যেখানেই থাকুক, যারাই আগুন দেবে, জনগণের ওপর অত্যাচারর করবে এবং গাড়ি, বাস, ট্রাকে আগুন দেবে সাথে সাথে তাদের প্রতিরোধ করতে হবে। এখানে কারো ওপর নির্ভর করলে হবে না, জনগণকেই এগিয়ে আসতে হবে। ঠিক ২০১৩ তে যেমন শুরু করেছিল তখন যখন প্রতিরোধ শুরু হলো, নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা করা হয়েছিল, ৫২৫টি স্কুল পুড়িয়ে দিয়েছিল, নির্বাচনী কেন্দ্র তারপরও নির্বাচন কিন্তু থামাতে পারে নাই। তারা জানে, নির্বাচন করলে ওরা কোনোদিন ক্ষমতায় আসতে পারবে না।