খেলা

বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ভ্রমণ করতে হবে বাংলাদেশকে

এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সূচি নিয়ে এরই মধ্যে সমালোচনাও হচ্ছে। নিউইয়র্কে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচের পর শ্রীলঙ্কা স্পিনার মহীশ ঠিকশানা সরাসরিই বলেছেন, অন্যায্য সূচি ও লজিস্টিক্যাল অব্যবস্থাপনার শিকার হয়েছেন তারা। এ ব্যাপারে আইসিসির কাছে লিখিত অভিযোগও নাকি জানিয়েছে শ্রীলঙ্কা দল।

বিশ্বকাপের সূচিতে যে সব দলকে সমান ‘সুবিধা’ দেওয়া হয়নি, সেটি নিশ্চিতই। কোনো কোনো দলকে ভ্রমণের বেশ ঝক্কি পোহাতে হবে, কোনো দল আবার সেসব ঝামেলায় পড়বে খুবই কম। উইজডেন ক্রিকেটের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে সবচেয়ে বেশি ভ্রমণ করতে হবে বাংলাদেশ দলকে।

প্রস্তুতি ম্যাচ থেকে শুরু করলে চারটি দল-বাংলাদেশ, নেদারল্যান্ডস, শ্রীলঙ্কা ও স্কটল্যান্ড তাদের ‘বেজ’ বা ‘ঘাঁটি’ বদলাবে চারবার করে। ডালাসে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচটি খেলার কথা ছিল বাংলাদেশের, যদিও বৃষ্টিতে ভেসে যায় সেটি। এরপর তারা নিউইয়র্কে যায় ভারতের সঙ্গে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে। সেখান থেকে আবার ডালাসে ফেরে নাজমুল হোসেনের দল, সেখানে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচ।

এরপর আবার নিউইয়র্কে যাবে তারা, সেখানে প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা। সেখান থেকে দল যাবে সেন্ট ভিনসেন্টের কিংসটাউনে। গ্রুপ পর্বের শেষ দুটি ম্যাচ সেখানেই। সব মিলিয়ে বাংলাদেশ ভ্রমণ করবে ৯ হাজার ৯২১ কিলোমিটার। গ্রুপ পর্বে অন্য যেকোনো দলের চেয়ে যা বেশি।

এরপরই আছে শ্রীলঙ্কা। ফ্লোরিডার লডারহিলে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ থেকে শুরু করে গ্রুপ পর্বের চারটি ম্যাচ চারটি ভিন্ন ভেন্যুতে খেলবে তারা। লঙ্কানরা বাদে একমাত্র নেদারল্যান্ডসই তাদের চারটি ম্যাচ ভিন্ন ভিন্ন ভেন্যুতে খেলবে। সব মিলিয়ে শ্রীলঙ্কাকে ভ্রমণ করতে হবে ৮ হাজার ৯৭ কিলোমিটারের মতো।

নেদারল্যান্ডসের ভ্রমণ দাঁড়াবে প্রায় ৭ হাজার ৩৮০ কিলোমিটারে। অন্যদিকে স্কটল্যান্ডকে মাত্র ১ হাজার ২৪২ কিলোমিটার ভ্রমণ করতে হলেও চারবার ‘ঘাঁটি’ বদলাতে হবে।ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ডকে নিজেদের ‘বেজ’ বদলাতে হবে মাত্র একবার করে। ভারত ছাড়া বাকি তিনটি দলের কেউ কোনো প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেনি। বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচের পর গ্রুপ পর্বে প্রথম তিনটি ম্যাচও নিউইয়র্কেই খেলবে ভারত। ফলে টানা চারটি ম্যাচ একই ভেন্যুতে খেলবে তারা। এ ‘সুবিধা’ ভারত ছাড়া পেয়েছে শুধু সহ-আয়োজক যুক্তরাষ্ট্র।

ভ্রমণের হিসাবে অবশ্য সবচেয়ে কম পথ পাড়ি দিতে হবে ইংল্যান্ডকে। বার্বাডোজের ব্রিজটাউনে প্রথম দুটি ম্যাচ খেলার পর তারা যাবে ৫০৫ কিলোমিটার দূরে অ্যান্টিগার নর্থ সাউন্ডে। সেখানে তাদের পরের দুটি ম্যাচ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d