জাতীয়

বিস্ফোরক মামলায় কারাগারে ডা. ফাতেমা

রাজশাহীর প্রসূতি ও স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. ফাতেমা সিদ্দিকাকে শাহ মখদুম থানার একটি বিস্ফোরক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

চলতি বছরের মে মাসে দায়ের করা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আজ শনিবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে এ চিকিৎসককে গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

ডা. ফাতেমা রাজশাহী অঞ্চলের প্রখ্যাত গাইনি চিকিৎসক ও ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক। তবে তিনি জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তার বিরুদ্ধে জামায়াত-শিবিরকে অর্থায়নেরও অভিযোগ রয়েছে। রাজশাহী মহানগরীর মাদারল্যান্ড ইনফার্টিলিটি সেন্টার নামের হাসপাতালটির মালিকও তিনি।

এর আগে শুক্রবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় মহানগরীর শাহ মখদুম থানার বড় বনগ্রামের বাড়ি থেকে ডা. ফাতেমা সিদ্দিকাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তুলে নিয়ে যায় মহানগর গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) ও শাহ মখদুম থানা পুলিশ। গত রাতে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জামায়াত-শিবিরকে আর্থিক সহায়তার কথা স্বীকার করেন।

এরপর গত ২৩ মে শাহ মখদুম থানায় দায়ের হওয়া একটি নাশকতা ও বিস্ফোরক আইনের মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে শনিবার তাকে আদালতের মাধ্যমে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।

রাজশাহী মহানগরীর শাহ মখদুম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন শনিবার দুপুরে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. ফাতেমা সিদ্দিকার বাড়িতে জামায়াতের গোপন বৈঠকের খবরে শুক্রবার সন্ধ্যায় অভিযান চালানো হয়। কিন্তু সেখানে কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে তিনি জামায়াতের সাংগঠনিক তহবিলে বিপুল পরিমাণ অর্থ জোগান দেন বলে অভিযোগ ছিল। থানায় নেওয়ার পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এর সত্যতাও মিলেছে।

এদিকে রাজশাহীর বিশিষ্ট প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. ফাতেমা সিদ্দিকী রাজশাহী মেডিকেল কলেজের প্রসূতি ও গাইনি বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। তবে তিনি সরকারি চাকরি ছাড়েন বেশ কয়েক বছর আগেই।

আর সেই সময় থেকেই তিনি রাজশাহী ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজে অধ্যাপনা শুরু করেন। এর পাশাপাশি ইসলামী ব্যাংক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়মিত রোগী দেখেন। এছাড়া তিনি মহানগরীর লক্ষ্মীপুরে থাকা মাদারল্যান্ড ইনফার্টিলিটি সেন্টার হাসপাতালের মালিক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d