চট্টগ্রাম

বেতন বাড়ানোর আশ্বাসে কাজে ফিরলেন প্যাসিফিকের শ্রমিকরা

চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের (সিইপিজেড) প্যাসিফিক জিন্স গ্রুপের কয়েকটি কারখানায় বেতন বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলন করেছেন শ্রমিকরা। বেতন বৃদ্ধির আশ্বাস দেওয়ার পরে তারা আন্দোলন থামিয়ে ফের কাজে ফিরেছেন। যদিও কারখানা কর্তৃপক্ষের দাবি—এটি আন্দোলন নয়, শুধুমাত্র নতুন বেতন কাঠামো নিয়ে কিছু ‘বিভ্রান্তি’ ছিল শ্রমিকদের মধ্যে।

মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া এ আন্দোলন চলে টানা দেড় ঘণ্টা। আন্দোলনরত শ্রমিকরা বলছেন, সরকার নির্ধারিত বেতনের চেয়ে ও অন্যান্য কারখানার তুলনায় তাদের বেতন কম বাড়ানো হয়েছে।

জানা গেছে, পোশাক কারখানার শ্রমিকদের জন্য সর্বনিম্ন ১২ হাজার ৫০০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ১৪ হাজার ৭৫০ টাকা বেতন নির্ধারণ করে নূন্যতম মজুরির খসড়া সুপারিশ প্রকাশ করেছে সরকার। যেখানে পাঁচটি গ্রেড রাখা হয়েছে। আন্দোলনকারী শ্রমিকরা বলছেন, তাদের কারখানায় নতুন বেতন কাঠামো পাচ্ছেন নতুন যোগ দেওয়া শ্রমিকরা। কিন্তু পুরোনো শ্রমিকরা এই নতুন বেতন কাঠামোর আওতাভুক্ত হচ্ছেন না। ফলে পুরোনোদের বেতন এবং নতুন যোগদানকারীদের বেতনের পার্থক্য হচ্ছে ১ হাজার থেকে ১২শ’ টাকা।

চার হাজার টাকা করে বেতন বৃদ্ধির বিষয়টি নিশ্চিত করে প্যাসিফিক গ্রুপের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘ইয়াংওয়ানে সবার বেতন ৫ হাজার টাকা করে বৃদ্ধি করা হয়েছে। কিন্তু আমাদের এই কারখানায় পুরোনোদের বেতন বাড়ানো হয়েছিল সামান্য। যার ফলে নতুন ওয়ার্কারদের বেতন আর পুরোনোদের বেতন সমান হয়ে গিয়েছিল। তাই তারা আজ কারখানার প্রধান ফটক অবরোধ করে আন্দোলন শুরু করেন। এক পর্যায়ে এমডি স্যার এসে তাদেরকে ৪ হাজার টাকা করে বেতন বাড়ানোর আশ্বাস দিলে তারা কাজে ফেরেন। এই বাড়তি বেতন ডিসেম্বর মাসের বেতনের সাথে যোগ হবে।’ যোগ করেন তিনি।

শ্রমিকরা ৪ হাজার টাকা বেতন বৃদ্ধির আশ্বাসে কাজে ফিরেছে। বেতন বৃদ্ধির এই অঙ্কের পরিমাণ সঠিক কিনা—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যে বেতন কাঠামো আছে সেই অনুযায়ী বেপজার সাথে কথা বলে বাড়াতে হবে। নিয়মের বাইরে গিয়ে কিছু করতে পারবো না। আমরা বেপজার সাথে কথা বলেছি এটি নিয়ে। বেপজার নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা বেতনভাতা নির্ধারণ করব।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d