বেনজীরের অঢেল সম্পদে হতবাক হাইকোর্ট
পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের অঢেল সম্পদ নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করে হাইকোর্ট বলেছেন, ‘কিভাবে এত সম্পদের মালিক হলেন তিনি (বেনজীর আহমেদ)! বিষয়টি আমাদের হতবাক করেছে। ’
যশোরে কয়েকটি সেতু নির্মাণে অনিয়মসংক্রান্ত জনস্বার্থের একটি রিট মামলার শুনানিতে মঙ্গলবার এমন মন্তব্য করেন বিচারপতি কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
মঙ্গলবার (১১ জুন) যশোরে স্থানীয় সরকার বিভাগের কয়েকটি সেতু নির্মাণে অনিয়মের শুনানিকালে বিচারপতি কামরুল কাদের ও খিজির হায়াতের বেঞ্চ সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ প্রসঙ্গে এ মন্তব্য করেন। রিটকারী আইনজীবী শামসুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
শুনানিকালে আদালত বলেন, আপনাদের অনিয়মের বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখব। দেশ-বিদেশে আলোচিত-সমালোচিত হচ্ছে একজন সরকারি কর্মকর্তার অনিয়ম-দুর্নীতি। একজন আইজিপি কীভাবে এত অঢেল সম্পদের মালিক হলেন। এটি আমাদের বিস্মিত করেছে।
উল্লেখ্য, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে উল্লেখ করেছেন, রাজধানীর গুলশানে মোট ৯ হাজার ১৯২ বর্গফুট আয়তনের চারটি ফ্ল্যাট মাত্র ২ কোটি ১৯ লাখ টাকায় কিনেছেন। সেই হিসেবে প্রতি বর্গফুটের দাম পড়েছে ২ হাজার ৩৮২ টাকা। তবে রাজধানীতে ফ্ল্যাট ও জমি ব্যবসার সঙ্গে জড়িতরা বলছেন, এই দামে গুলশানের মতো অভিজাত এলাকা তো দূরের কথা, ঢাকার আশপাশের এলাকায়ও ফ্ল্যাট পাওয়া যাবে না।
রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (রিহ্যাব) একাধিক সদস্য জানান, জমির দামের সঙ্গে নির্মাণ ব্যয় সমন্বয় করে ফ্ল্যাটের দাম নির্ধারণ করা হয়। বর্তমানে গুলশান-বনানীতে নির্মাণাধীন ফ্ল্যাট প্রতি বর্গফুট ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। নামী রিয়েল এস্টেট কোম্পানিগুলোর ফ্ল্যাটের দাম আরও বেশি। সে হিসেবে ৯ হাজার বর্গফুট রিয়েল এস্টেটের মূল্য কমপক্ষে ২২ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
তারা জানান, কর ফাঁকি দিতে অনেকে কম দাম দেখিয়ে ফ্ল্যাট রেজিস্ট্রেশন করেন। আবার কিছু গ্রাহক অবৈধ আয় (আয়কর রিটার্নে দেখানো হয় না) দিয়ে ফ্ল্যাট কেনেন। তাই তারা কম দামে ফ্ল্যাট রেজিস্ট্রেশন করেন।