আনোয়ারাচট্টগ্রাম

বেলা বাড়ার সঙ্গে বাড়ছে নারী ভোটারের উপস্থিতি

সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে চট্টগ্রামের আনোয়ারায় ভোটগ্রহণ। চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। তবে সকাল ৭টা পর্যন্ত কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি নিয়ে শঙ্কায় থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাল্টে যাচ্ছে চিত্র। বিভিন্ন কেন্দ্রে বাড়ছে নারী ভোটারের উপস্থিতি।

বুধবার (২৯ মে) সকাল ৯টার দিকে ঝি-বা-শি উচ্চ বিদ্যালয় ও তৈলারদ্বীপ বারখাইন এরশাদ আলী উচ্চ বিদ্যালয় ঘুরে দেখা যায়, কেন্দ্রে পুরুষ ভোটারদের পাশাপাশি নারী ভোটারদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। স্বতঃস্ফূর্ত ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট দিতে পারে খুশি ভোটাররা।

শীলা দেবী নামের এক ভোটার জানান, প্রথমে ঝামেলা হবে মনে করে ভোট কেন্দ্রে আসিনি। পরবর্তীতে ভোট কেন্দ্র শান্ত জানতে পেরে ভোট দিতে আসলাম।

ফাতেমা বেগম নামের আরেক ভোটার জানান, ভোটের মাইকিং শোনে নাতনির বায়না ভোট কেন্দ্র দেখতে যাবে তাই নাতনিকে নিয়ে ভোট কেন্দ্র এসেছি। কোনো ঝামেলা ছাড়া ভোটগ্রহণ চলছে।

ভোট দিয়ে খাইরুন্নেসা নামের আরেক ভোটার জানান, আধ ঘন্টা লেনে দাঁড়িয়ে ভোট দিয়েছি। আমাদের লেনের ৪০জন মতো নারী ভোটার আছে। কোনো রকম ঝামেলা ছাড়া পছন্দের প্রার্থীদের ভোট দিয়েছি।

তৈলারদ্বীপ বারখাইন মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রিসাইডিং অফিসার মোহাম্মদ মাঈনুদ্দিন জানান, এক ঘণ্টায় ৪টি বুথে ১৫০শ টি ভোট পড়েছে। এই কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা ২হাজার ৫৩ জন। কাস্টিং ভোটের মধ্যে নারী ভোটার বেশি।

এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আনোয়ারায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এমপির সমর্থিত দোয়াত কলম প্রতীকে তৌহিদুল হক চৌধুরী ও অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াশিকা আয়শা খান এমপির সমর্থিত আনারস প্রতীকের কাজী মোজাম্মেল হক। তীব্র উত্তেজনা, উৎকণ্ঠার এ নির্বাচন যেন আওয়ামী লীগের রাজনীতির ধারক-বাহক দুই পরিবারের ভাগ্য পরীক্ষা। এতে বাবু পরিবারের ‘শাসন’ স্থায়ী হবে, না-কি নতুন করে কায়সার পরিবারের শাসন পুনরুদ্ধার হবে এই নিয়ে জল্পনা কল্পনার শেষ নেই আনোয়ারাসহ আশপাশের উপজেলায়।

নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, বুধবার আনোয়ারার ১১টি ইউনিয়নের ৭৪টি ভোট কেন্দ্রে ব্যালেট পেপারে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। উপজেলায় ২ লাখ ৩৩ হাজার ১০৯ জন ভোটারেরর মধ্যে ১ লাখ ২৩ হাজার ৮৮৮জন পুরুষ এবং ১ লাখ ৯ হাজার ২২১জন নারী ভোটার রয়েছে। ৭৪ টি কেন্দ্রের মধ্যে অতি ঝুঁকিপূর্ণ ৪০টি কেন্দ্র হলেও নির্বাচন কমিশন সব কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ মনে করছে। মঙ্গলবার থেকে মাঠে-টহল দিচ্ছে বডার্র গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও ১৪জন নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন। স্ট্রাইকিং ফোর্সে থাকছে র‍্যাবের টিম। এছাড়া বিশেষ নিরাপত্তা হিসেবে থাকছে ৩ শতাধিক পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d