ব্যাটিং ব্যর্থতায় সিরিজ খোয়ালো বাংলাদেশ
টপ অর্ডারের ব্যাটারদের ব্যর্থতায় সিরিজ নির্ধারণী শেষ টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে ২৮ রানে হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা। এ জয়ে ৩ ম্যাচের সিরিজে ২-১ এ জিতে নিয়েছে সফরকারীরা।
শনিবার (৯ মার্চ) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জয়ের জন্য ১৭৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় বাংলাদেশ। মাত্র ২ দশমিক ২ ওভারেই দলীয় ১৩ ও ব্যক্তিগত ৭ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন ওপেনার লিটন দাস। ধনঞ্জয় ডি সিলভার বলে দাসুন শানাকার তালুবন্দি হোন তিনি।
এরপর বাংলাদেশের টপ অর্ডারে আঘাত হানেন নুয়ান থুসারা। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে বল করতে এসে ওভারের দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ বলে একে একে আউট করেন নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহিদ হৃদয় ও মাহমুদউল্লাহকে। ৬ষ্ঠ শ্রীলঙ্কান বোলার হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে হ্যাটট্রিক করেন নুয়ান থুসারা। ২৪ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে তখন রীতিমতো ধুকছে বাংলাদেশ। দলীয় ২৪ রানে ব্যক্তিগত ১১ রান করে আউট হোন সৌম্য সরকারও। অধিনায়ক ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার বলে এলবিডব্লিউর শিকার হোন জাকের আলী।
দলের এমন অবস্থায় হাল ধরেন শেখ মেহেদি ও রিশাদ হোসেন। দুজন মিলে করেন ৩১ বলে ৪৪ রানের পার্টনারশীপ। ১৯ রানে মেহেদি আউট হলে লড়াই চালিয়ে যান তাকসিন ও রিশাদ। ৩০ বলে ৫৩ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলে আউট হন রিশাদ। তাসকিন আহমেদ করেন ২০ বলে রান। শেষ পর্যন্ত ১৯ ওভার ৪ বলে ১৪৬ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ।
এর আগে, টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ওপেনার কুশাল মেন্ডিসের ঝড়ো ইনিংসের সুবাদে ১৭৪ রানের লড়াকু সংগ্রহ পায় সফরকারীরা। দলীয় ১৪০ রানে আউট হবার আগে কুশাল খেলেন ৬টি করে চার-চক্কা হাঁকান। ৫৫ বলে ৮৬ রানের এক ইনিংস খেলেন। এছাড়া, দাসুন শানাকা ১৯, অধিনায়ক ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ১৫, কামিন্দু মেন্ডিস ১২, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস করেন ১০ রান। বাকিরা দুই অঙ্কের রানে পৌঁছাতে ব্যর্থ হন। বাংলাদেশের পক্ষে তাসকিন আহমেদ ও রিশাদ হোসেন ২টি করে উইকেট নেন। এছাড়া ১টি করে উইকেট পান শরিফুল ইসলাম ও মোস্তাফিজুর রহমান।
উল্লেখ্য, আগামী ১৩ মার্চ চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শুরু হবে দুই দলের ৩ ম্যাচের ওডিআই সিরিজ। সবগুলো ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে সেখানেই। প্রথম দুই ম্যাচ হবে দিবা-রাত্রির। শুরু হবে দুপুর আড়াইটায়। সিরিজের শেষ ম্যাচ শুরু হবে সকাল ১০টায়। ওডিআই সিরিজ শেষে ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজও খেলবে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা।