জাতীয়

ভারী বৃষ্টিতে মোংলা বন্দরে গম ও সার খালাস বন্ধ

ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে বাগেরহাটের মোংলা বন্দরে আমদানিকৃত সার ও গম খালাস বন্ধ রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ ও বন্দরে সার ও গম নিয়ে আসা বাণিজ্যিক পাঁচটি জাহাজের এজেন্টরা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার বিভাগ জানায়, বৈরী আবহাওয়ার কারণে মোংলা বন্দরের পাঁচটি বিদেশি জাহাজ থেকে গম ও সার খালাস করা সম্ভব হচ্ছে না। পণ্য খালাসের জন্য বন্দরে গম, সার, ক্লিংকার, গ্যাস ও মেশিনারিজ পণ্য নিয়ে মোট ১২টি জাহাজ অবস্থান করছে। বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কায় দুটি জাহাজ থেকে গম ও তিনটি জাহাজ থেকে সার খালাস করা সম্ভব হয়নি।

এমভি বাও ইয়াং জাহাজের স্থানীয় শিপিং এজেন্ট ‘লিটমন্ড শিপিংয়ে’র ব্যবস্থাপক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ২৬ জুলাই মরক্কো থেকে ২৭ হাজার ৬০০ টন সার নিয়ে মোংলা বন্দরে আসে জাহাজটি। প্রায় অর্ধেক সার খালাস করার পর বুধবার রাতে শুরু হয় বৃষ্টি। ফলে বন্ধ রয়েছে খালাস।

খালাস বন্ধ থাকা জাহাজগুলোর মধ্যে ১ জুলাই মোংলা বন্দরের হাড়বাড়িয়ার-৫ নম্বর বয়ায় অবস্থান নেয় লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী জাহাজ এমভি প্রটেক্টর এসটি রাফায়েল। এ জাহাজে ২১ হাজার ৮০০ টন গম রয়েছে। এছাড়া ১৬ জুলাই এমভি এলিন কারেজ ২২ হাজার টন গম নিয়ে হাড়বাড়িয়া-৬ নম্বর বয়ায় অবস্থান নেয়।

এ গম খালাস করে সুন্দরবন সংলগ্ন পশুর নদীর জয়মনির ঘোল এলাকায় ‘মোংলা সাইলো’ নামে সরকারি খাদ্য গুদামে নেওয়া হচ্ছিল। জাহাজ দুটির স্থানীয় এজেন্ট রেনু শিপিংয়ের সহকারী ব্যবস্থাপক কাজী মাহাবুবুল হক শুভ এসব তথ্য জানান।

অপরদিকে হংকংয়ের পতাকাবাহী এমভি গ্রেট ইন্টালিজেন্ট, লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী এমভি বাও ইয়াং ও পানামার পতাকাবাহী এমভি ফেডারেল ইবুকি জাহাজ থেকেও পণ্য খালাস বন্ধ রাখা হয়েছে। এ জাহাজগুলোতে ইউরিয়া সার রয়েছে।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের উপ-পরিচালক মো. মাকরুজ্জামান বলেন, ৩, ৪ ও ৫ নম্বর সতর্কতা সংকেতের সময়ও বন্দরে পণ্য খালাস চলমান থাকে। তবে ভারী বৃষ্টির সময় জাহাজে থাকা পণ্য নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় সংশ্লিষ্ট আমদানিকারক ও জাহাজের শিপিং এজেন্টরা পণ্য খালাস বন্ধ রাখেন। বর্তমানে বৃষ্টির কারণে পাঁচটি জাহাজের খালাস (আনলোড) বন্ধ রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d