ভোট দিয়্যুম হারে?
লালখানবাজার এলাকায় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজনের সঙ্গে কথা হয় এবং তিনি সাংবাদিককে প্রশ্ন ছুড়ে দেন ভোট দিয়্যুম হারে?
তিনি বলেন, ‘আমার গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী। কিন্তু আমার জন্ম থেকে বেড়ে উঠা, পড়াশোনা সব এখানে। কিন্তু গত দুই নির্বাচনে আমরা কেউই ভোট দেইনি। যখন আমার ভোটের দামই থাকলো না তখন ভোট দিয়ে কী হবে? শুধু আমি নই। প্রশাসন যদি ভোটকেন্দ্রের পরিবেশ এবং সুষ্ঠু ভোটের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে পারে তবে আমি বা আমরা অবশ্যই ভোট দিবো।’
দরজায় কড়া নাড়ছে নতুন বছর। সেই সঙ্গে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ক্ষণগণনা শুরু হয়ে গেছে। হাতে বাকি মাত্র ১০ দিন। মাঠে, ময়দানে, চায়ের দোকান কিংবা পাড়ার আড্ডা সব জায়গাতেই প্রাধান্য পাচ্ছে নির্বাচনী আলাপ-আলোচনা। নির্বাচনকে ঘিরে মানুষের আগ্রহ বা উদ্দীপনার কোনো কমতি নেই। প্রার্থীদের প্রচার প্রচারণাও থেমে নেই। নির্বাচন ঘিরে সাধারণ মানুষের এই আগ্রহ নিয়ে কথা বলতে এ প্রতিবেদক গিয়েছিলেন চট্টগ্রাম-১০ আসনের ভোটারদের কাছে। গেল কয়েকদিন ঘুরেছেন এ আসনের বিভিন্ন এলাকা। ভোট নিয়ে কী ভাবছেন এখানকার সাধারণ মানুষ? চারদিকে প্রচারণার উৎসবমুখর পরিবেশের পরেও ভোটাধিকার প্রয়োগের প্রতি সাধারণ মানুষের উদাসীনতা চোখে পড়ার মতো।
চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং-খুলশী-পাহাড়তলী-হালিশহর) আসনের জন্য ভোটের মাঠে লড়ছেন ৯ প্রার্থী। আর প্রার্থী তালিকায় থাকা ছয়জনই এলাকায় অনেকটা অচেনা। এ আসনের সংসদ সদস্য হতে প্রার্থী হয়েছেন— তৃণমূল বিএনপির মো. ফেরদাউস বশির, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের আলমগীর হোসেন বঈদী, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের আবুল বাশার মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন, সুপ্রিম পার্টির মিজানুর রহমান, জাতীয় পার্টির জহুরুল ইসলাম এবং জাসদের মো. আনিসুর রহমান। একইসঙ্গে আওয়ামী লীগের হয়ে ভোটের মাঠে আছেন বর্তমান সংসদ সদস্য মহিউদ্দিন বাচ্চু এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সিটি মেয়র মনজুর আলম ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ফরিদ মাহমুদ। তবে ধারণা করা হচ্ছে, এ আসনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে আওয়ামী লীগের সঙ্গে ও স্বতন্ত্র দুই প্রার্থীর।
কোন দলের প্রার্থীকে যোগ্য মনে করছেন এমন প্রশ্নের জবাবে দেওয়ানহাট এলাকার বাসিন্দা নুরুল আলম বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ছাড়া কোনো গতি নাই। আওয়ামী লীগের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে এমন দলের অস্তিত্ব এখন আর বাংলাদেশে নাই। শেখ হাসিনা যেভাবে দেশ চালাচ্ছেন তার মতো আর কোনো জনপ্রতিনিধি নেই। সুতরাং তার নেতৃত্বে যেই থাকবে সেই দেশের উন্নয়ন করবেন।’
উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম-১০ আসনটি বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের ৩০০ আসনের তালিকায় রয়েছে ২৮৭ নম্বরে। এখানে মোট ভোটকেন্দ্র ১৪৯টি। মোট ভোটার ৪ লাখ ৮৫ হাজার ৮০৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৪৭ হাজার ৩৯৯ জন এবং নারী ২ লাখ ৩৮ হাজার ৩৭৮। মোট ভোটারের মধ্যে ২৬ জন আছেন হিজড়া সম্প্রদায়ের।