মহেশখালী আসবেন প্রধানমন্ত্রী, কাল প্রস্তুতি সভা
কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীতে আগমনের সম্মতি জানিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি আগামী ১২ থেকে ১৬ নভেম্বরের মধ্যে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেল প্রকল্পসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন পরবর্তী মহেশখালীতে জনসভায় ভাষণ দেয়ার কথা রয়েছে। যদিও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এখনো সফর সূচির চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি।
প্রধানমন্ত্রীর মহেশখালী আগমনের ঘোষণায় জনসভা আয়োজনের প্রস্তুতি শুরু করেছে উপজেলা আওয়ামী লীগ।
এ উপলক্ষে কাল বুধবার (০১ নভেম্বর) সকাল ১১টায় মাতারবাড়িতে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত হবে।
উক্ত প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি ও কেন্দ্রীয় ধমবিষয়ক সম্পাদক এড. সিরাজুল মোস্তফা।
প্রতিনিধি সভায় জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ, প্রত্যেক উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক ও সহযোগী সংগঠনের জেলা সভাপতি/সাধারণ সম্পাদকগণ, মহেশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ ও সকল সহযোগী সংগঠনের সভাপতি/সাধারণ সম্পাদককে যথাসময়ে উপস্থিত থাকার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এদিকে সোমবার (৩০ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রীর জনসভার স্থান পরিদশন করেছেন আওয়ামী লীগের নেতাকমীরা। এদিন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক তারেক বিন ওসমান শরীফের নেতৃত্বে মাতারবাড়িতে নিমানাধীন ১২শ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্রের পূবপাশের ‘মাতারবাড়ি টাউনশীপ’ এলাকা ঘুরে দেখেন।
পরিদর্শনকালে মাতারবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম আবু হায়দার, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জিএম ছমি উদ্দিন, ধলঘাটার ইউপি চেয়ারম্যান আহসান উল্লাহ বাচ্চু, কুতুবজোম ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন খোকন, উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি সেলিম উল্লাহ সেলিম, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্মআহবায়ক শওকত ইকবাল মুরাদ উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তারেক বিন ওসমান শরীফ বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তৃতীয়বার সরকার গঠনের পর ২০১৯ সালে মহেশখালী আগমনের সম্মতি জানিয়েছিলেন। কিন্তু করোনা মহামারির কারণে সেসময় আসতে পারেননি। তবে তিনি আগমনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় আগামী ১২ নভেম্বর তিনি মহেশখালী আসবেন। এ উপলক্ষে একটি জনসভার প্রস্তুতিও নেয়া হচ্ছে। জনসভার সম্ভাব্য ভেন্যু হিসেবে ‘মাতারবাড়ি টাউনশীপ’ এলাকাকে প্রাথমিকভাবে নিধারণ করেছি। যদিও উধ্বতন কতৃপক্ষ চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।’
তিনি বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনা এর আগেও দ্বিতীয় টুঙ্গিপাড়াখ্যাত মাতারবাড়িতে এসেছেন। মহেশখালীবাসীর প্রতি আলাদা টান রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আসার খবরে তাঁকে দেখার জন্য এখানকার মানুষ উদগ্রীব হয়ে আছে। প্রধানমন্ত্রীর জনসভাস্থল যাতে মাতারবাড়ি বা কালারমারছড়া ভেন্যু ঠিক করার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।’
প্রসঙ্গত, দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীতে ১ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি ব্যয়ে বেশ কয়েকটি মেগা প্রকল্পসহ ৬৮টি প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। যার মধ্যে কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র ও গভীর সমুদ্রবন্দর, এসপিএম প্রকল্প অন্যতম।
অথনৈতিক সম্পক বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, মাতারবাড়ি ১২শ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, লিকুইড ন্যাচারাল গ্যাস (এলএনজি) টার্মিনাল, তেল রিজার্ভ ট্যাংক, পণ্য খালাসের জেটি, গভীর সমুদ্রবন্দর, সোলার পাওয়ার প্ল্যান্টসহ প্রায় ৬৮টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। প্রকল্পগুলোর মধ্যে ৩১টি বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের। ৯টি নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের, ৮টি সড়ক ও সেতু বিভাগের, ৯টি বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের।