জাতীয়

মাজার ও দরবার শরীফের নিরাপত্তায় ১০ দাবি

দেশের মাজার, দরবার ও খানকাহ শরীফের নিরাপত্তায় সেনাবাহিনী মোতায়েনসহ ১০ দফা দাবি জানিয়েছে সর্বজনীন তরিকত সূফী ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ ও তরিকতপন্থি ছাত্র সংগঠন।

মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মাজারে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে সর্বজনীন তরিকত সূফী ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ ও তরিকতপন্থি ছাত্র সংগঠন আয়োজিত মানববন্ধনে এসব দাবি জানানো হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ১২ আউলিয়ার দেশে মাজার ভেঙে নিঃশেষ করে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু যে যার ধর্ম পালন করবে, এটাই তো স্বাধীনতা। কোনো কিছু চাপিয়ে দেয়া তো স্বৈরাচারী মনোভাব। কিন্তু এখন দেশের বিভিন্ন জায়গায় মাজারে হামলা করা হচ্ছে, ভাঙচুর করা হচ্ছে। তাই যে সকল দরবার ও মাজারে চরমপন্থিদের হামলার হুমকি রয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ওই সব দরবার ও মাজারে সেনাসদস্য মোতায়েন করার দাবি জানাচ্ছি।

সর্বজনীন তরিকত সূফী ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ ও তরিকতপন্থি ছাত্র সংগঠনের উত্থাপিত দাবিগুলো হলো—

অবিলম্বে দেশের মাজার, দরবার ও খানকাহ শরীফ ভাঙার সাথে জড়িত সকল ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে; যে সকল মসজিদে উগ্রবাদ ও জঙ্গিবাদ প্রচার করার মাধ্যমে তরিকতপন্থি মাজার ও দরবার ভাঙচুরে উসকানি দেওয়া হচ্ছে, অতি শিগগির তাদের শাস্তি দিতে হবে; উগ্রবাদীদের হামলায় যেসব তরিকতপন্থি আহত হয়েছেন, তাদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে; উগ্রবাদীদের হামলায় যারা নিহত হয়েছেন, প্রতিটি হত্যার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষী ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে বিচার করতে হবে; দেশের সকল মাজার, দরবার ও খানকাহ শরীফের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে; দেশের এ ক্রান্তিলগ্নে যে সকল ব্যক্তি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উসকানিমূলক বিবৃতি দিয়ে ধর্মীয় দাঙ্গা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছেন, অবিলম্বে তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে; দেশের সকল তরিকতপন্থির নিরাপত্তা নিশ্চিত করার মাধ্যমে প্রকৃত অর্থে স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা করতে হবে; যেসব দরবার ও মাজারে চরমপন্থিদের হামলার হুমকি রয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ওই সব দরবার ও মাজারে সেনাসদস্য মোতায়েন করতে হবে; যেসব দরবার এবং মাজার শরীফে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট হয়েছে, ধর্ম উপদেষ্টা ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ওই সব প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করে এগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে বিবৃতি দিতে হবে; এবং যেহেতু ইতোমধ্যে অনেক দরবার ও মাজারে নৃশংস হামলা হয়েছে, তাই অবিলম্বে দরবার ও মাজারগুলোর নিরাপত্তার স্বার্থে বিশেষ নিরাপত্তাসংক্রান্ত সেল গঠন করতে হবে; এই সেলে একাধিক হটলাইনের মাধ্যমে সপ্তাহে ৭ দিন ২৪ ঘণ্টা দরবার ও মাজারগুলোকে নিরাপত্তা দিতে হবে।

মানববন্ধনে জাকির হোসেন চিশতী, খাজা বেনজীর হক চিশতী নিজামী, শাহ সুফি কিরন চিশতী নিজামী, সামসুজ্জামান চৌধুরী সবুজ, আবুল বারেক চিশতী, বেনজীর নূরী সুরেশ্বরী, আরিফ দেওয়ানসহ সারাদেশের বিভিন্ন মাজার, দরবার শরীফের অনুসারীরা উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d