মিধিলির প্রভাবে নাইক্ষ্যংছড়িতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি
নাইক্ষ্যংছড়িতে ঘুর্ণিঝড় মিধিলির” প্রভাবে আমন ফসল ও আগাম শীত কালীন সবজির ব্যা পক ক্ষতি হয়েছে। বঙ্গপসাগরের সৃষ্ট নিম্নচাপের কারনে ১৬ নভেম্বর বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার ভোর বেলা পর্যন্ত টানা বৃষ্টি ও প্রচন্ড বাতাসে উপজেলার ৫ ইউনিয়নের আমনধান, শীতের আগাম সবজী চাষ, ফলজ, বাগানের ক্ষতি ব্যাপক হয়েছে। পাকাধান ও আধাপাকা ধান মাটিতে পড়ে যাওয়ার ফলে কৃষকেরা এখন দিশেহারা।
উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের কৃষক আবুল শামা, জালাল আহমেদ সহ অনেকে জানান, এবছর শুরুর দিকে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চাষাবাদ করে ফলন হয়েছিলো অনেক ভালো। কিন্ত ঘুর্নিঝড় মিধিলির প্রভাবে অধিকাংশ ধান মাটিতে পড়ে যাওয়ার কারণে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলার ৫ ইউনিয়ন, বাইশারী, সোনাইছড়ি, দৌছড়ি, ঘুমধুম ও সদর ইউনিয়নে সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানাযায়, ঘুর্ণিঝড় এর কারণে কৃষকের ক্ষতির পাশাপাশি দীর্ঘক্ষণ যাবৎ বিদ্যুৎ না থাকার ফলে মানুষের বাড়ী ঘরের রক্ষিত ফ্রীজের মালামাল নষ্ট হয়ে গেছে।
রাবার বাগান ম্যানেজার আল আমিন জানান এবারের ঘূর্নিঝড়ে বাগানের তেমন ক্ষতি হয়নি। তবে বৃষ্টির কারণে রাবারের কষ আহরন বন্ধ থাকায় অনেক ক্ষতি হয়েছে।
সোনাইছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এ্যনিং মারমা জানান, ফসল সহ আগাম সবজী ও বাগানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তাছাড়া কোন ধরনের হতাহতের খবর পাওয়া যায় নি।
সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ নুরুল আবছার জানান, ফসলের কিছুটা ক্ষতি হয়েছ। তবে এলাকায় হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। পাহাড় ধ্বসের ঘটনা ও ঘটেনি।
বাইশারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আলম কোম্পানি বলেন, আমার এলাকায় আগাম সবজি ক্ষেত ফলজ বাগান, রবি শষ্যের প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে পাহাড় ধ্বসে কোন ধরনের ক্ষতি হয়নি।
বাইশারী সদরের দায়িত্ব প্রাপ্ত উপসহকারী কৃষি অফিসার রফিকুল আলম বলেন তিনি সরজমিনে পরিদর্শন করেছেন এবং কৃষকদের মাঝে পরামর্শ দিয়েছেন। কিছু পাকাধান মাটিতে পড়ে গিয়ে আংশিক ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে তাড়াতাড়ি পাকাধান গুলো কেটে ফেললে তেমন ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নাই।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইনামুল হক জানান বর্তমানে উপসহকারী কৃষি অফিসারগন বর্তমানে মাঠে রয়েছেন, ক্ষতির পরিমাণ এখনো জানা যায়নি। তবে কৃষকদের বড় ধরনের কোন ক্ষতি হয়নি। আংশিক ক্ষতি হওয়ার আশংকা রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোমেন শর্মা জানান, ঘুর্ণিঝড় মিধিলির কারণে উপজেলার ৫ ইউনিয়নে কোন বড় ধরনের ঘটনা ঘটেনি, হতাহতের খবর ও পাওয়া যায়নি। এছাড়া ঘুর্ণিঝড় মিধিলি আসার আগেই প্রতিটি ইউনিয়নের আওতাধীন এলাকায় মাইকিং এর মাধ্যমে সতর্ক করা হয়েছিল উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে।