চট্টগ্রাম

মৃত্যু ঠেকাতে বাঁশের বেষ্টনী

চলতি বর্ষায় নগরীর ঝুঁকিপূর্ণ উন্মুক্ত খাল-নালার পাড়ে মৃত্যু ঠেকাতে বাঁশের বেষ্টনী দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) জলাবদ্ধতা প্রকল্পের ৩৬টি খালের বাইরে থাকা বাকি ২১ খালের ঝুঁকিপূর্ণ অংশে এ বেষ্টনী দিবে চসিক।

এ উদ্যোগ বাস্তবায়ন করতে চসিকের দায়িত্বরত কর্মকর্তারা নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডের ঝুঁকিপূর্ণ খাল-নালার একটি তালিকাও প্রস্তুত করেছে। উন্মুক্ত খাল-নালায় পড়ে মৃত্যু ঠেকাতে ইতোমধ্যে বাঁশের বেষ্টনী দেয়ার কাজ শুরু হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন চসিকের প্রধান প্রকৌশলী মো. শাহীন-উল ইসলাম চৌধুরী।

চসিকের প্রকৌশল সূত্র জানায়, নগরীর ২১ খাল ও বিভিন্ন নালার ঝুঁকিপূর্ণ প্রায় ১০০টি পয়েন্ট চিহ্নিত করেছে কর্মকর্তারা। প্রধান প্রকৌশলীর কাছে এসব পয়েন্টের একটি তালিকা জমা দিয়েছেন তারা। তালিকা অনুযায়ী এসব পয়েন্টে বেষ্টনী দিতে ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে চসিক। সবগুলো পয়েন্টে বেষ্টনী দিতে এক সপ্তাহ থেকে ১০ দিন সময় লাগবে বলে জানান চসিকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

ঝুঁকিপূর্ণ খাল-নালার মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য পয়েন্টগুলো হচ্ছে- ১৪ নম্বর লালখান বাজার এলাকার পোড়া কলোনি, চানমারী সড়কের বড় ড্রেন, মতিঝর্ণা ড্রেনের স্ল্যাব। ১৬ নম্বর চকবাজার ওয়ার্ডের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনের বড় ড্রেন, হিজড়া খালের কাপাসগোলা বাবর কলোনির রাস্তা। ২০ নম্বর দেওয়ান বাজার ওয়ার্ডের কায়সার নিলুফার কলেজ কালভার্ট, মাছুয়া ঝর্ণা কাজীর খাল মোহনা, সিএন্ডবি কালভার্ট হতে মিয়া সরদার কালভার্ট। ২১ নম্বর জামালখান খালের জামালখান রোড পুরাতন দাওয়াত হোটেলের সামনের খাল, জামালখান খাল কুসুমকুমারী স্কুলের সামনে ব্রিজ খালের পাশে, আসকার দিঘি কাঁচা বাজার খালের পাশ, হেমসেন লেন ব্রিজ খালের পাশে। ৩৪ নম্বর পাথরঘাটা আসাদগঞ্জ রোডের শুঁটকিপট্টি খালের ব্রিজের রেলিং অংশে।

জানা যায়, গত তিন বছরে নগরীর বিভিন্ন খাল-ড্রেনে পড়ে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। নগরীর ৪১ ওয়ার্ডে খাল-নালা রয়েছে ১ হাজার ১৩৭ কিলোমিটার। এর মধ্যে নিরাপত্তাবেষ্টনী ছাড়া খালের পাড় রয়েছে প্রায় ২০ কিলোমিটার।

চসিকের প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) মো. শাহীন-উল ইসলাম চৌধুরী বলেন, চলতি বছরের বর্ষায় ঝুঁকিপূর্ণ উন্মুক্ত খাল-নালায় পড়ে মৃত্যু ঠেকাতে বেষ্টনী দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছি। এ বেষ্টনী দেয়ার জন্য আমাদের যেহেতু তেমন বরাদ্দ নেই তাই আপাতত বাঁশের বেষ্টনী দেয়া হবে। ইতোমধ্যে আমাদের সংশ্লিষ্ট নির্বাহী ও সহকারী প্রকৌশলীরা ঝুঁকিপূর্ণ উন্মুক্ত খাল-নালার বিভিন্ন পয়েন্টের তথ্য জমা দিয়েছেন। ইতোমধ্যে কিছু কিছু পয়েন্টে বেষ্টনী দেয়ার কাজ শুরু হয়েছে। এক সপ্তাহ থেকে ১০ দিনের মধ্যে সব চিহ্নিত জায়গায় বেষ্টনী দেয়া হবে।

চসিক মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, বিগত কয়েক বছরে নগরীর উন্মুক্ত খাল-নালায় পড়ে একাধিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এমন মৃত্যুর সংখ্যা আমরা শূন্যে নামিয়ে আনার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ স্থান চিহ্নিত করে বেষ্টনী দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d