যে কারণে ইসরায়েলকে আইসিসির সতর্কবার্তা
ইসরায়েলি নেতাদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর ট্রাইব্যুনাল বা কর্মীদের ওপর ‘প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছিল ইসরায়েল। সেই ঘটনায় হুমকি প্রদানকারী ব্যক্তিদের’ সতর্ক করেছেন আইসিসির প্রসিকিউটররা। এই ধরনের পদক্ষেপ ‘বিচারিক প্রশাসনের বিরুদ্ধে অপরাধ’ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
গতকাল শুক্রবার আইসিসির প্রধান প্রসিকিউটর করিম খানের কার্যালয় এক্সে দেওয়া এক পোস্টে জানায়, যখনই সংলাপ আদেশের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়, তখনই এটি (আইসিসি) সব অংশগ্রহণকারীর সঙ্গে গঠনমূলকভাবে জড়িত থাকার চেষ্টা করে। কিন্তু সেই স্বাধীনতা ও নিরপেক্ষতা ক্ষুণ্ণ হয় যখন কোনো ব্যক্তি আদালতের বিরুদ্ধে বা আদালতের কর্মীদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দেয়। আইসিসির ‘বিচার প্রশাসনের বিরুদ্ধে’ এই ধরনের হুমকি একটি অপরাধ হতে পারে।
এদিকে ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য স্থগিত করেছে তুরস্ক। গাজা উপত্যকায় ‘ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের’ কারণে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি। ইসরায়েল গাজায় ‘বাধাহীন ও যথেষ্ট পরিমাণ ত্রাণপ্রবাহে’ অনুমতি না দেওয়া পর্যন্ত এই পদক্ষেপ বহাল থাকবে বলে দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। দেশ দুটির মধ্যে বছরে প্রায় সাত বিলিয়ন ডলার বাণিজ্য হয়।
বাণিজ্য বন্ধ করে দেওয়ার পর ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাত্জ তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোয়ানকে ‘স্বৈরশাসক’-এর মতো আচরণের দায়ে অভিযুক্ত করেছেন।
এক বিবৃতিতে তুরস্ক জানিয়েছে, এই বাণিজ্য স্থগিত করার সিদ্ধান্ত সব ধরনের পণ্যের ক্ষেত্রেই কার্যকর হবে। বিবৃতিতে বলা হয়, তুরস্ক কঠোর ও সন্দেহাতীতভাবেই নতুন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করবে যত দিন পর্যন্ত ইসরায়েল সরকার গাজায় বাধাহীন ও পর্যাপ্ত ত্রাণপ্রবাহের অনুমোদন না দেয়।