‘যেকোনো মূল্যে’ দ্রব্যমূল্য সহনীয় করতে চায় সরকার
আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে ‘যেকোনো মূল্যে’ অসহনীয় ওঠা দ্রব্যমূল্য কমিয়ে আনতে চায় সরকার। এই পণ্যেগুলোর মধ্যে রয়েছে, চাল, চিনি, তেল, পিঁয়াজ ও ডাল। এই লক্ষ্যে আমদানিকৃত ভোগ্যপণ্যের ওপর শুল্ক কমানো এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে হ্রাস করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। এরই অংশ হিসেবে খুব শিগগিরই ভোজ্য তেল ও চিনি দাম কমানোর ঘোষণা দেয়া হতে পারে। তবে এ দুই পণ্যের দাম কতটুকু কমানো হবে সে বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। চলতি সপ্তাহ বা আগামী সপ্তাহের প্রথম দিকে এ বিষয়ে একটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
জানা যায়, দেশে নির্বাচনী সময়ের প্রাক্কালে অভ্যন্তরীণ বাজারে নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতি প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে অর্থমন্ত্রীকে মৌখিক নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি নিজ বাসভবনে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো: রহমাতুল মুনিম ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষের সাথে বৈঠক করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
সূত্র জানায়, সভায় দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা নিয়ে আলোচনা হয়। এ বিষয়ে এনবিআর-এর সম্ভাব্য করণীয় বিষয়ে দিক-নির্দেশনা দেন অর্থমন্ত্রী। এর পাশাপাশি ডালের ওপর থেকেও শুল্ক কমানো যায় কি না তা নিয়ে আলোচনা করা হয়।
জানা যায়, সভায় চিনি ও সয়াবিন তেলের ওপর আরোপিত শুল্ক কমানোর মাধ্যমে এই দুই পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার প্রস্তাব করা হলে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, নানা কারণে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হয় না। এরপর যদি চিনি ও সয়াবিন তেলের উপর থেকে শুল্ক কমানো হয় তাহলে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন বাধাগ্রস্ত হবে। তবে যথাসাধ্য চেষ্টা করা হবে শুল্কের হার সহনীয় পর্যায়ে রাখার।
সূত্র জানায়, সভায় আলোচনা শেষে চিনি ও সয়াবিন তেলের শুল্কহার পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। রোববারের মধ্যে এ বিষয়ে এনবিআর-এর সিদ্ধান্ত জানানোর কথা ছিল। কিন্তু গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত এ বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।