রমজানে কোনো কিছুর অভাব হবে না: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রমজানে কোনো কিছুর (অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের) অভাব হবে না। এরই মধ্যে ছোলা, খেজুর, চিনিসহ পর্যাপ্ত পরিমাণ পণ্য আমদানির ব্যবস্থা রয়েছে। আমরা অনেক আগেই এ ব্যবস্থা করেছি। কোনো সমস্যা হবে না।
শুক্রবার গণভবনে সাম্প্রতিক জার্মানি সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
আগামী ৫ বছরের সরকারের কাজের প্রাধান্য তুলে ধরার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের উন্নয়নশীল দেশের যাত্রা শুরু হবে ২০২৬ থেকে। সুতরাং আমাদের যে সময়টুকু পাবো সেটিকে কাজে লাগিয়ে যথাযথভাবে এগিয়ে যেতে হবে। সেদিকে আমরা মনোযোগ দিয়েছি। এরই মধ্যে বিভিন্ন কমিটি গঠন করে আমরা সেভাবেই কাজ করে যাচ্ছি।
উন্নয়ন টেকসই করার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, আগামী ৫ বছরে সরকারের প্রধান গুরুত্ব থাকবে আর্থ-সামাজিক উন্নতি টেকসই করা। আমরা যে পর্যায়ে থেকে উঠে এসেছি সেটা টেকসই করে আরো এগিয়ে যেতে হবে। এর মধ্যে একটা হচ্ছে ২০৩০ সালের মধ্যে জাতিসংঘের এসডিজি বাস্তবায়ন। এজন্য আমরা ২০৩২ সাল পর্যন্ত সময় পেয়েছি এবং এরই মধ্যে সেগুলো আমরা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জয়লাভের পর প্রথম রাষ্ট্রীয় সফর হিসেবে গত ১৬-১৮ ফেব্রুয়ারি জার্মানির মিউনিখ শহরে অনুষ্ঠিত ৬০তম মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সফরকে ফলপ্রসু উল্লেখ করে তিনি বলেন, মিউনিখ সফরের ফলে বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশের শান্তি, সার্বভৌমত্ব ও সর্বাঙ্গীন নিরাপত্তার প্রতি অঙ্গীকার বলিষ্ঠরূপে প্রতিফলিত হয়েছে। দেশের আকার নয় বরং নীতির শক্তিতেই যে মানবতার রাজনৈতিক ও আর্থ-সামাজিক মুক্তি- এবারের সম্মেলনে আমি এ বার্তাই বিশ্বের দরবারে তুলে ধরেছি।
সম্মেলনের পাশাপাশি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকসমূহের মাধ্যমে বন্ধুপ্রতিম দেশ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহের সঙ্গে সম্পর্কের ধারাবাহিকতা আরো দৃঢ় হয়েছে এবং সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্র উন্মোচিত হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এবং পরিবেশমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম প্রমুখ।