রোডমার্চের দিনে চন্দনাইশে গাড়ি ভাঙচুর-সংঘর্ষ, ২৬ জনের নামে মামলা
রোডমার্চের দিনে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চন্দনাইশে গাড়ি ভাঙচুর ও সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে।
রবিবার (৮ অক্টোবর) রাতে মো. নয়ন (৩০) নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে ২৬ জনের নাম উল্লেখ করে মামলাটি করেছেন। তিনি পেশায় সিএনজি চালক বলে জানা গেছে।
মামলায় আসামি করা হয়েছে চন্দনাইশ পৌরসভা বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ইফতেকার হোসেন, চন্দনাইশ উপজেলা বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক জসিম উদ্দিন মিন্টু, আরিফুর রহমান মারুফ, চন্দনাইশ পৌরসভা যুবদলের আহবায়ক আজম খান, চন্দনাইশ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলহাজ নুরুল আনোয়ার চৌধুরী, চন্দনাইশ পৌরসভা বিএনপি আহবায়ক কমিটির সদস্য মো. সেলিম, চন্দনাইশ উপজেলা বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক মনজুর মোরশেদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল মজিদ শাহ , ছাত্রদল নেতা রেজাউল করিম হিরো, মো: এরশাদ, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক অলিউল হোসেন, বিএনপি নেতা হেলাল উদ্দিন, বিএনপি নেতা নেছার উদ্দিন, ছাত্রদল নেতা মো. শাকিব, সেচ্ছাসেবক দল নেতা আবুল হাশেম, যুবদল নেতা জসিম উদ্দিন, ধোপাছড়ি ইউপি সদস্য ও বিএনপি নেতা মোজ্জামেল হক, ধোপাছড়ি ইউপি সদস্য ও বিএনপি নেতা মজিবুল হক খোকা, হাশিমপুর ইউনিয়ন বিএনপি সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান আবু ছামা, হাশিমপুর ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মো: বোরহানসহ ২৬ জনকে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত ৫ অক্টোবর দুপুরে রোডমার্চ অংশ নিতে বিভিন্ন দিকে থেকে দলীয় ব্যানার নিয়ে নেতাকর্মীদের মুক্তি ও সরকার পতনের উস্কানিমূলক স্লোগান দিয়ে হাতে লাঠিসোঠা ও ইটপাটকেল নিয়ে গাছবাড়িয়া কলেজ গেইট এলাকায় জড়ো হয়। এসময় মহাসড়ক অবরোধ করে বিভিন্ন যানবাহনে অতর্কিত হামলা করে। এ ঘটনায় ১৫/২০টি গাড়ি ব্যাপক ভাবে ভাংচুর করে এবং তাদের অতর্কিত হামলায় বাদীর পরিচিত ৫ জন গুরুতর আহত হয়।
চন্দনাইশ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ওবায়দুল ইসলাম বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।