লেডিস মার্কেটে পুরুষের রাজত্ব
সরকারি উদ্যোগে ২০০৫ সালে নারী উদ্যোক্তাদের স্বাবলম্বী করার লক্ষ্যে সীতাকুণ্ড পৌরসদর এলাকায় গড়ে তোলা হয় লেডিস মার্কেট। এই মার্কেটের ২৪টি দোকান নারী ব্যবসায়ীদের বরাদ্দ দেওয়ার কথা থাকলেও হস্তান্তর প্রক্রিয়ায় সেখানে এখন পুরুষের রাজত্ব।
জানা গেছে, প্রভাবশালীরা প্রকৃত নারী ব্যবসায়ীদের দোকান বরাদ্দ দেওয়ায় শর্ত না মেনে নিজেদের স্ত্রী, আত্মীয়-স্বজনের নামে বরাদ্দ নেন। পরে দ্বিগুণ সেলামি নিয়ে পুরুষ ব্যবসায়ীদের কাছে দোকান হস্তান্তর করেন। এতে স্বপ্ন ভঙ্গ হয়েছে শত শত নারী উদ্যোক্তার।
বর্তমানে লেডিস মার্কেটে ২৪টি দোকানের মধ্যে মাত্র একটি মহিলা দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। বাকি ২৩টি দোকান পুরুষের নিয়ন্ত্রণে। নিচ তলার ৬টি দোকানে থাই অ্যালুমিনিয়াম বিক্রি ও গ্রিল ওয়াকর্শপ পরিচালনা করা হচ্ছে। আছে টাইলস, আফ্রিকান হারবালের দোকান। এ ছাড়া ৪টি দোকান ময়দার গুদাম হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
দ্বিতীয় তলায় একটি বিউটি পার্লার ও লেডিস টেইলার্স নারী দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। এই দোকানের কর্মচারীরা জানান, নামে লেডিস মার্কেট হলেও এখানে অন্য দোকানিরা সবাই পুরুষ। এ অবস্থায় অনেক নারী লেডিস মার্কেটে আসতে উৎসাহ হারিয়েছেন।
দোকানিরা জানান, বর্তমানে যারা এসব দোকান পরিচালনা করছেন তারা সবাই ভাড়াটিয়া। দ্বিতীয় তলার ২ নম্বর দোকানটি দলিল লেখক আবুল কালামের। তিনি আমেরিকা প্রবাসী গোফরান বাহারের স্ত্রী সখিনা আক্তারের কাছ থেকে এক লাখ টাকা সেলামি ও মাসিক দেড় হাজার টাকায় এই দোকান ভাড়া নিয়েছিলেন।
পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা বদিউল আলম বলেন, নেতাদের স্ত্রীর নামে দোকানগুলো বরাদ্দ দেওয়া হয়। তারা প্রকৃত ব্যবসায়ী না হওয়ায় উপ-ভাড়াটিয়াকে দিয়ে দেন। এখন মার্কেটটি শ্রীহীন। অধিকাংশ দোকানই বন্ধ থাকে।
সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কে এম রফিকুল ইসলাম বলেন, লেডিস মার্কেটের দোকান কাদের নামে বরাদ্দ ছিল, কিভাবে বরাদ্দ হয়েছিল তা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।