জাতীয়

শত্রুর মুখে ছাই দিয়ে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী

বিএনপি জামায়াত আন্দোলন সংগ্রামের নামে কোন ধরনের অরাজকতা করলে পুলিশী অ্যাকশনে যাবে সরকার বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিএনপির জামাতের যেকোনো কর্মসূচি বা আন্দোলন সংগ্রামের ইস্যুতে সতর্ক থাকার জন্য দলীয় নেতাকর্মীদেরও নির্দেশনা দেন তিনি।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় তিনি এ কথা বলেন।

এ সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সভায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপির জামায়াত গত জাতীয় নির্বাচন বানচাল করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্র করেছে। তারা এখন সরকার উৎখাতের জন্য ষড়যন্ত্র করছে। তাদের সঙ্গে যোগ হয়েছে দেশের কিছু বুদ্ধিজীবীরা। কিন্তু ভবিষ্যতে বিএনপি জামায়াত আর যদি কোন আন্দোলন সংগ্রামের নামে দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করার চেষ্টা করে সরকার পুলিশি অ্যাকশনে যাবে। আর এজন্য দলীয় নেতাকর্মীদেরও সতর্ক থাকতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ চলছে। যুক্তরাষ্ট্র সেখানে নির্যাতন করেছে। মানবাধিকার সংস্থা, বিচার বিভাগ, যারা নিষেধাজ্ঞা দেয়, আমাদের ওপর খবরদারি করে, তাদের কাছে জবাব চাই। সেখানে আমার বাঙালি কেন মারা যাবে? ওই রকম ছোট্ট একটা শিশুকে মায়ের কোল থেকে নিয়ে হত্যা করা! শিক্ষকদের ওপর নির্যাতন করা, এর জবাব আমরা চাই। এটা তো সম্পূর্ণ মানবাধিকার লঙ্ঘন। এরই প্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন গণতন্ত্র রক্ষায় যে ধরনের হামলা করছে আমরা তা থেকে শিক্ষা নেব। বিএনপি জামায়াত যদি দেশে গণতন্ত্রের পরিবেশ বিনষ্টে কর্মসূচি দেয়, যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে শিক্ষা নিয়ে গণতন্ত্রকে টিকিয়ে রাখতে আমরাও পুলিশি অ্যাকশনে যাব।

বৈঠক সূত্র বলছে, বৈঠকে এক সংগঠন সম্পাদক উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করতে চাইলে দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা তাকে থামিয়ে দেন। তিনি বলেন, এ বিষয়ে এখনই কোন কথা নয়। আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। পরে আরেক সাংগঠনিক সম্পাদক সাংগঠনিক রিপোর্ট নিয়ে কথা বলতে চাইলে শেখ হাসিনা বলেন, আগামী জুন মাসে আরেকটি দলের কার্যনির সংসদের বৈঠক হবে। ওই বৈঠকে আলোচনা হবে সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে। তবে জেলা উপজেলায় আওয়ামী লীগের কমিটি সম্মেলন স্থলেই ঘোষণা করা নির্দেশনা দেন দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা।

তবে ২৩ জুন আওয়ামী লীগের প্লাটিনাম জয়ন্তী উপলক্ষে বছরব্যাপী কর্মসূচি নেওয়ার কথা বলেন দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা। এছাড়া দলের প্লাটিনাম জয়ন্তী ২৩ জুন থেকে তিন দিনব্যাপী কর্মসূচি থাকবে টানা। সারা দেশব্যাপী অনুষ্ঠানগুলো হবে জমকালো। এ সময় দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা ৭৫ এর ১৫ আগস্ট এর পর তাদের দুই বোনকে যে দুর্বিসহ জীবন কাটাতে হয়েছে, তা নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন।

এর আগে বৈঠকে সূচনা বক্তব্যে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্ব যখন প্রশংসা করছে, তখন কিছু মানুষ সমালোচনা করছে৷ যে যাই বলুক, শত্রুর মুখে ছাই দিয়ে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ। আওয়ামী লীগকে সবসময় ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করেই পথ চলতে হয়েছে৷ আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করেছে। আওয়ামী লীগ দেশ ও মানুষের ওপর আস্থা রেখেই দেশ চালায়৷ আওয়ামী লীগ সবসময় গণতন্ত্র প্রক্রিয়ায় ক্ষমতায় এসেছে।আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছেন মানুষের ভাগ্য পরির্বতনে কাজ করছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, আমাদের কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না। এটাই আমরা প্রমাণ করেছি বিশ্বব্যাপী। এতে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্য আমাদের দেশে কিছু রাজনৈতিক দেউলিয়াত্ব লোক রয়েছে। যারা একেবারে রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া। এদের মধ্যে কিছু আছে, তাদের বক্তব্য আর আমাদের দেশে কিছু আছে, যারা বুদ্ধি বেঁচে জীবিকা নির্বাহ করেন, তারা অনবরত বাংলাদেশের বিরুদ্ধে গীবত গাচ্ছে। তারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। সবচেয়ে আশ্চর্য ব্যাপার হচ্ছে দেশে অতিবাম অতি ডান সবই তারা এখন এক হয়ে গেছে। এটা কিভাবে হলো আমি জানিনা। সারাক্ষণ শুনি আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত করতে হবে। অতি বাম আর অতি ডান মিলে সরকার উৎখাতে কাজ করছে। অপরাধ টা কি আমাদের। আওয়ামী লীগ দেশ ও মানুষের ওপর আস্থা রেখেই দেশ চালায়৷ কিছু রাজনীতিবিদ ও বুদ্ধিজীবী অনবরত দেশবিরোধী অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে৷ তাদের চোখে কিছুই ভালো লাগে না৷ বাংলাদেশ তো পেছাচ্ছে না৷ এগিয়ে যাচ্ছে৷ তাহলে সমস্যাটা কোথায়?

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র নিজের চেহারা আয়নায় না দেখে, মানবাধিকার নিয়ে সবক দেয় বাংলাদেশকে৷ মার্কিন কোনো পুলিশের গায়ে কোনো রাজনৈতিক দল হাত তুললে, কী করতো সেখানতার পুলিশ? কদিন আগে যুদ্ধের বিরোধীতা করায় সাধারণ মানুষের আন্দোলনে কি জুলুমটাই না করলো আমেরিকার পুলিশ। এটা তো মানবাধিকার লঙ্ঘন৷ এর জবাব কী?

বিএনপির সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, ক্ষমতায় বসে লুটপাট করতে পারছে না বলেই সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনায় নেমেছে বিএনপি। বিএনপি এমন একটি দল, যাদের কোনো মাথামুণ্ডু নেই৷ তারা শুধু পারে অনলাইনে নির্দেশনা দিতে৷ ২৮ অক্টোবর বিএনপি যে অপকর্ম করেছে, তা মানুষের ভুলে যাওয়া উচিত না৷ ভোট চুরি করে ক্ষমতায় আসা দলের কাছে আজকে গণতন্ত্রের কথা শুনতে হয়। যারা ভোট নিয়ে প্রশ্ন তুলছে, তারা কেনো বুঝছে না দেশবাসী এই নির্বাচনে ভোট দিতে পেরে খুশি৷ জনগণের আস্থা আওয়ামী লীগ পেয়েছে, কারণ মানুষ বিশ্বাস করে আওয়ামী লীগ তাদের উপকার করে৷ জনগণের আস্থা-বিশ্বাসই আওয়ামী লীগের মূল শক্তি। আজ দেশের মানুষের দিন বদল হয়েছে৷ দারিদ্র্যের হার এখন গ্রামে নয় শহরে দেখা যাচ্ছে৷ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ গড়া যাবে৷ জনগণের ভোটে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে, ক্ষমতায় দখল করে নয়। জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখল করে নিজেদের ভাগ্য পরির্বতন করলেও দেশের মানুষের জন্য কিছু করেনি। দেশের মানুষের ভোটে গণতন্ত্রের প্রক্রিয়ায় আমরা ক্ষমতায় এসেছি। যারা নির্বাচন বানচাল করার ষড়যন্ত্র করেছিল এবং ভোটে আসেনি তারা আবার নির্বাচন নিয়ে নানা কথা বলে। যারা নির্বাচনে আসেনি তারা নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলার কে। যাদের জন্মই হয়েছে ভোট চুরির মধ্যে দিয়ে তারা আবার আমাদের নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলে।

প্রচণ্ড গরমে দেশবাসীকে সাবধানে থাকার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পুরো দক্ষিণ এশিয়ায় গরম ছড়িয়ে পড়ছে৷ শিগগিরই বৃষ্টি হবে বলে আশা করছি৷ পহেলা আষাড় থেকে পরিবেশ-প্রতিবেশ রক্ষায় বৃক্ষরোপণ চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেন শেখ হাসিনা।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আমাদের দুর্ভাগ্য ২০২১ সালে আমরা সরকার আসতে পারিনি। একটা ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে আমাদের আসতে দেওয়া হয়নি। তার ফলটা হয়েছিল, দেশে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, বাংলা ভাইয়ের উথান ও দুর্নীতি । বারবার বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে হেয় প্রতিপন্ন হয়েছে। আমাদের অগণিত নেতাকর্মীদের উপর অত্যাচার ও নির্যাতন হয়েছে। সেটাও ভুলবার নয়। বিএনপি জামায়াতের দুঃশাসনের ফলে দেশে ইমার্জেন্সির ঘোষণা হয়। ইমারজেন্সি সরকার ক্ষমতা আসার পরে প্রথমদিকে ভালো কথা বললেও ক্ষমতা কুক্ষিগত রাখার চেষ্টা করে। কিন্তু দেশের মানুষ বসে থাকেনি। আমাদের ছাত্র শিক্ষক নেতাকর্মী তারা কাজ করেছে। এমনকি আমাদেরকে গ্রেপ্তার করার পর আওয়ামী লীগ এবং অন্যান্য সহযোগী সংগঠন মিলে ১৫ দিনের মধ্যে ২৫ লাখ স্বাক্ষর সংগ্রহ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে দেওয়া হয়েছিল। অথচ খালেদা জিয়ার ক্ষমতা আসার পর আমার বিরুদ্ধে প্রায় এক ডজন মামলা দেয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকার এসে আরো পাঁচ থেকে ছয়টার মামলা দেয়। আমার প্রত্যেকটা মামলায় তদন্ত করে রিপোর্ট নিয়ে কোর্টে গিয়ে মামলা প্রত্যাহার হয়েছে। আমরা সরকার থেকে কোন মামলা প্রত্যাহার করিনি। তার কারণ আমাদের একটা বিশ্বাস আছে। দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করতে চাই। আমরা নিজস্ব অর্থ অনেক পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছি। এটা আমাদের একটি চ্যালেঞ্জ ছিল। একবার আন্তর্জাতিক পর্যায়ে থেকে দুর্নীতি অভিযোগ আনা হয়েছিল। আমি চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলাম। নিজস্ব অর্থায়নের পদ্মা সেতু নির্মাণ করব। আমরা তা করেছি। এক বছরও হয়নি এর মধ্যেই ১৫০০ কোটি টাকা টোল উঠেছে। ১৫০০ কোটি টাকা যে উপার্জন তা সম্পূর্ণ আমাদের অর্থায়নে। আমরা পারি সেটা আমরা প্রমাণ করেছি। দেশের এটাই তো প্রাপ্তি।

তিনি বলেন, করোনার সময় আমরা বিনা পয়সায় ভ্যাকসিন দিয়েছি। পৃথিবীর অনেক ধনী দেশ দেইনি। কিন্তু বাংলাদেশ দিয়েছে। টেস্টিং আমরা বিনা পয়সায় করেছি। পৃথিবীর অনেক ধনী দেশও করেনি। যা আমরা করেছি। আমরা দুহাতে পানির মত টাকা খরচ করে মানুষকে বাঁচাবার চেষ্টা করেছি। আজকে মাতৃ মৃত্যুহার ও শিশু মৃত্যুহার কমিয়েছি। সাক্ষরতার হার বাড়িয়েছি। মানুষের আয়ুষ্কাল বৃদ্ধি করেছি। শিক্ষার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। মানুষের ঘরের চিকিৎসা সেবা নিয়ে গেছি। সবদিক থেকে বাংলাদেশ এগিয়ে গেছে। মানুষের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু করোনা ও ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধ। স্যাংশন, কাউন্টার স্যাংশন। বিশ্বব্যাপী মুদ্রাস্ফীতি। এই সমস্যার কারণে কিন্তু আমরা অনেকটা হিমশিম খাচ্ছি। অনেক উন্নত দেশও তারা অর্থনীতিভাবে হিমশিম খাচ্ছে। তারপরও আমরা আমাদের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রেখেছি। ২০০৮ সালর নির্বাচনি ইশতেহারে আমরা ঘোষণা দিয়েছিলাম, ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে আমরা এক ধাপ ওপরে তুলবো। রূপকল্প ২০২১ আমরা ঘোষণা দেই, দিন বদলের সনদ আমরা ঘোষণা দেই। আজ দিন বদল ঘটেছে।

শেখ হাসিনা বলেন, সব সময় আমরা লক্ষ্য রেখেছি তৃণমূলের মানুষ, তাদের আর্থ-সামাজিক উন্নতি করা। আজ কেউ বলতে পারছে না যে গ্রামে দারিদ্য আছে। এখন বলে, শহরে দারিদ্র্য। এখন অদ্ভুত এক হিসাব হয়ে গেছে, দারিদ্রের হার শহরে বেড়ে গেছে, গ্রামে না। অথচ এক সময় গ্রামের মানুষ একবেলা ভাত খেতে পেতো না। মাথা গোঁজার ঠাঁই ছিল না। রোগের চিকিৎসা পেতো না। শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত ছিল। আমাদের উন্নয়নে তৃণমূল মানুষের দিকে লক্ষ্য রেখে পরিকল্পিতভাবে এগিয়েছি। ইতোমধ্যে কয়েকটি জেলা-উপজেলা গৃহহীন, ভূমিহীন মুক্ত ঘোষণা দিয়েছি। অল্প কিছু বাকি আছে, সেগুলোও শিগগিরই হয়ে যাবে। বাংলাদেশের কোনো মানুষই ঠিকানাবিহীন থাকবে না।

এদিকে, বৈঠক শেষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনে যেসব এমপি-মন্ত্রীর স্বজন প্রার্থী হয়েছেন তাদের বিষয়ে আওয়ামী লীগ সময়মতো ব্যবস্থা নেবে।

বৈঠকে উপজেলা নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘না, হয়নি।’

নির্দেশ অমান্যকারীদের কোনো শাস্তি হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। আমি আপনাদের বরাবর একই কথা বলেছি যে, সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ৩০ এপ্রিল কোনো সিদ্ধান্ত আসবে এ বিষয়ে কিন্তু আমি কিছু বলিনি। এখনও একই কথা বলবো, সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি বলেন, ১৭ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের কর্মসূচি, ১৫ আগস্ট, ২১ আগস্টের কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। মূল আলোচনা হয়েছে দলের প্লাটিনাম জয়ন্তী, ৭৫ বছরের কর্মসূচি নিয়ে। এ বছর আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর হীরকজয়ন্তী জাঁকজমকভাবে আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ নিয়ে আমরা সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠক করবো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d