শাসন করায় শিক্ষকের বাড়িতে মল-আতশবাজি নিক্ষেপ!
শ্রেণিকক্ষে আতশবাজি ফুটানোয় শিক্ষার্থীদের মৌখিকভাবে শাসন করায় শিক্ষকের বাড়িতে আতশবাজি ও মানুষের মল নিক্ষেপ করার অভিযোগ উঠেছে নয় শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে।
রোববার (২৪ মার্চ) চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার খাড়াগোদা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
পরে সোমবার (২৫ মার্চ) অভিযুক্ত নয় শিক্ষার্থীকে মৌখিকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। তাদের ব্যাপারে মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) ম্যানেজিং কমিটির সভায় পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, খাড়াগোদা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু হয় সকাল পৌঁনে ১০টায়। গত রোববার সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে ভোকেশনাল বিভাগের শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে আতশবাজি ও পটকা ফুটায়। এদিন বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নিয়মিত মিটিংয়ে এক শিক্ষক আতশবাজি ও পটকা ফুটানোর বিষয়টি তুলে ধরেন। সভায় সভাপতির নির্দেশে বিদ্যালয়টির শিক্ষক হারুন অর রশিদ, জাহিদুল ইসলাম ও আবজুল ইসলাম ভোকেশনাল বিভাগের নবম ও দশম শ্রেণির কক্ষে গিয়ে শিক্ষার্থীদের জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে আতশবাজি ফুটানো শিক্ষার্থীদের শনাক্ত করে সভাপতির কাছে নিয়ে আসেন। এসময় ওই শিক্ষার্থীরা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে এবং আগামীতে এমন কাজ করবে না বলেও শপথ করে।
অভিযোগ উঠেছে, গত রোববার রাতেই ওই শিক্ষার্থীরা খাড়াগোদা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক হারুন অর রশিদের খাড়াগোদা গ্রামের বাড়িতে রাতে দুই প্যাকেট আতশবাজি ছুড়ে মারে। সঙ্গে গোবর ও শিক্ষার্থীরা নিজেদের মল কচুপাতায় মুড়িয়ে শিক্ষকের বাড়িতে নিক্ষেপ করে।
এ বিষয়ে শিক্ষক হারুন অর রশিদ জানান, কিছুদিন আগে শিক্ষার্থীরা এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে। রোববারের ঘটনার পরই আমি তিতুদহ পুলিশ ক্যাম্পে বিষয়টি জানিয়েছি। ভোকেশনাল শাখার নবম শ্রেণির ছাত্র সৌরভ, দশম শ্রেণির মিরাজ, অষ্টম শ্রেণির আশিক, রিহাজ, রাব্বি, ইয়ামিন, আলিফ, মাহফুজ ও শাওনকে শনাক্ত করে তিনি প্রতিষ্ঠানে অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে নয় শিক্ষার্থীকে মৌখিকভাবে প্রতিষ্ঠান থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বহিষ্কারের বিষয়ে খাড়াগোদা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাহারুলের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, মৌখিকভাবে নয় শিক্ষার্থীকে মৌখিকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। মঙ্গলবার ম্যানেজিং কমিটির মিটিংয়ে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।