শেভরনের কার্যক্রম বন্ধে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ, ‘ভয়ে’ চুপ সিভিল সার্জন
অনিয়মের কারণে চট্টগ্রামে শেভরন ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কার্যক্রম বন্ধ করার নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এক সপ্তাহ আগে এই নির্দেশনা দিলেও প্রতিষ্ঠানটি কার্যক্রম এখনো বন্ধ হয়নি। চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন শেভরনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো তাদের পক্ষেই কথা বলছেন।
সিভিল সার্জনের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে গত ২০ অক্টোবর প্রতিষ্ঠানটির লাইসেন্স স্থগিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সিভিল সার্জনকে দেওয়া ওই চিঠিতে শেভরনের কার্যক্রম বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়। কিন্তু গত ১০ দিনেও প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
এ বিষয়ে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন মো. ইলিয়াস চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, লাইসেন্স স্থগিত করার চিঠিটি শেভরন কর্তৃপক্ষের কাছে দেওয়া হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘শেভরনের লাইসেন্স স্থগিত করা হলেও তারা কার্যক্রম চালাতে পারবে। কারণ সেখানে অনেক বড় বড় চিকিৎসক রোগী দেখেন। তাঁদের অনিয়মগুলো সমাধান করলে বা প্রমাণ দিতে পারলে স্থগিতাদেশ তুলে নেওয়া হবে।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সিভিল সার্জন অফিসের এক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সাধারণত লাইসেন্স স্থগিত মানে কার্যক্রম বন্ধ থাকা। এরপরও খোলা রাখা মানে তাঁদের হাত অনেক লম্বা। সিভিল সার্জনও তাঁদের সঙ্গে পেরে উঠছেন না।’
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক আখতার কবির চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, লাইসেন্স সাময়িক স্থগিত মানে প্রতিষ্ঠান কোনোভাবেই কার্যক্রম চালাতে পারবে না। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার উচিত প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে দেওয়া।
এর আগে তদন্ত ও অনুসন্ধান চালিয়ে শেভরনের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতি প্রমাণ পায় চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন অফিস। পরে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ১০ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়। ওই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে এই ব্যবস্থা নিতে বলা হয়।
এ বিষয়ে কথা বলতে শেভরনের মহাব্যবস্থাপক পুলক পারিয়ারের মোবাইলে ফোন করা হলে তিনি রিসিভ করেননি। এর আগে অনিয়মের বিষয়ে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, তাদের প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ ও কারণ দর্শানোর জবাব সিভিল সার্জন অফিসকে দিয়েছেন। এরপরও সিভিল সার্জন তাঁদের না জানিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেন।