সাকিব-হৃদয়কে নিয়ে শান্তর আশাবাদী মন্তব্য
সাকিব আল হাসান কি মিরপুরে নিজের শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে ফেললেন। অধিনায়ক শান্তর কাছে এমন এক প্রশ্নই উঠল সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে। কারণটাও খুবই স্বাভাবিক। বেলায় বেলায় অনেকটা সময় ক্রিকেটের সঙ্গে পার করে ফেলেছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। আর তিনি নিজেই গত ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগে জানিয়েছিলেন, ২০২৪ এর বিশ্বকাপ শেষেই বিদায় বলবেন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটকে।
দুই-দুই চার মেলালে দেশের মাটিতে এটাই সাকিবের শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। আর সেই শেষের সঙ্গে আছে অনেক প্রশ্ন। বিশ্বকাপে সাকিবকে কি ব্যাট হাতে আগের সেই কার্যকরী রূপে দেখা যাবে? চোখের সমস্যা নিয়ে ভুগছেন অনেকটা দিন। হেড পজিশন নিয়ে কথা হচ্ছে বারবার। এমন অবস্থায় বিশ্বকাপে সাকিব কি পারবেন দলের প্রত্যাশা পূরণ করতে?
বলা- না বলা সব প্রশ্নের জবাবই একসঙ্গে দিয়েছেন শান্ত, ‘শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলল কি না এই বিষয়ে আমি জানি না। বাট তার ব্যাটিং নিয়ে আমাদের পুরো টিমের কোনো কনফিউশন নাই। আমরা সবাই জানি উনি কতটা ক্যাপাবল এবং আমি খুবই কনফিডেন্ট যে সামনে যে টুর্নামেন্ট বা সিরিজটা আছে উনি ব্যাটিংয়ে টিমের হয়ে কন্ট্রিবিউট করবে।’
গত বিশ্বকাপে ভাল কিছু করা হয়নি শান্তর। কিন্তু কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে বিপিএল মাতিয়ে এবার আলোচনায় তাওহিদ হৃদয়। ছন্দে আছেন। বিশ্বকাপের দলে থাকবেন সেটা নিশ্চিতই। কিন্তু কোন পজিশনে দেখা যাবে এই নির্ভরযোগ্য ব্যাটারকে? গত বিশ্বকাপের মতোই কী ব্যাটিং অর্ডারে দেখা যাবে পরীক্ষানিরীক্ষার?
শান্ত অবশ্য এমন সম্ভাবনা একেবারেই উড়িয়ে দেননি। হৃদয়ের ব্যাটিং পজিশন নিয়ে করা প্রশ্নের উত্তরে শান্তর বক্তব্য, ‘একদম যে ফিক্সড থাকবে সেটা আমি বলব না। চেষ্টা থাকবে যার যার যে পছন্দের জায়গাটা বা যেখানে যে ব্যাটিং করলে টিমের হেল্প হবে ওই চিন্তা করে করা হবে। একদম এমন বলব না যে অনেক বেশি প্রতিদিনই চেঞ্জ হবে। ডিপেন্ড করবে কন্ডিশন ও অপনেন্ট টিমের কী স্ট্রেন্থ আছে না আছে ওটার উপর ডিপেন্ড করে আমরা ১১জনটা এবং ব্যাটিং অর্ডার সাজাব।’
ওপেনার হিসেবে লিটন ব্যর্থ। তানজিদ তামিম সিরিজের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হলেও ধারাবাহিকতার অভাব আছে তার। ওপেনার নিয়ে কী করবে বাংলাদেশ। শান্ত কারোর সম্ভাবনাই উড়িয়ে দেননি, ‘এখানে কিন্তু আমরা সবকিছু ট্রাই করেছি। সো এটাও একটা প্ল্যানে ছিল যে লিটনকে দুই ম্যাচে ব্রেক দিয়ে সৌম্য যেহেতু ইনজুরি ছিল। আসার পর কিভাবে ক্যামব্যাক করে, ওকেও ম্যাচটা দেওয়ার দরকার ছিল। সো যে তিনজন ওপেন করল এই সিরিজটাতে তিনজনের সম্ভাবনা আছে ১১ জনে থাকার। ওই সময়ে অপনেন্টের উপরে ডিপেন্ড করে সেট করব।’
‘টপ অর্ডারে যদি আরেকটু ভালো ব্যাটিং করতে পারি তাহলে আমার মনে হয় যে টিমের জন্য ভালো হবে। মোমেন্টামটা দলের খুব ইম্পর্ট্যান্ট হবে। যে উইকেটে খেললাম এটা নিয়ে খুব বেশি চিন্তা না করে সামনের জন্য যেন চিন্তা করি। এই জায়গাটাই যদি আমরা ভালো স্টার্ট দিতে পারি তাহলে টিমটা আরেকটু আগানো থাকবে।’- যোগ করেন তিনি।
নিজের ব্যাটে রানখরা, সঙ্গে আছে অধিনায়কত্বের চাপ। সবমিলিয়ে নিজেকে নিয়ে শান্তর মন্তব্য, ‘অবশ্যই আমার মনে হয় প্রথমত দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করা অনেক বড় একটা ব্যাপার। তার পাশাপাশি ওয়ার্ল্ড কাপের মতো স্টেজে করতে পারি অবশ্যই আমার জন্য এক্সসাইটিং। খুবই এক্সসাইটেড এবং চেষ্টা করব যে আমার যতটুকু অ্যাবিলিটি আছে ওই অনুযায়ী পুরোটা ডেলিভার করা।’