সুস্থ থাকতে যে নিয়ম মেনে খাবেন গরু-খাসির মাংস
কোরবানি ঈদে ঘরে ঘরে গরু-খাসির মাংস খাওয়ার ধুম পড়ে যায়। এ সময় ঘরে এমনকি বন্ধু কিংবা আত্মীয়ের বাড়িয়ে গিয়েও কমবেশি সবাই মাংস খান। তবে সুস্থ থাকতে চাইলে অতিরিক্ত লাল মাংস খাওয়া এড়িয়ে চলতে হবে সবারই।
বিশেষ করে যারা অতিরিক্ত ওজনে ভুগছেন কিংবা হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ও কিডনির রোগী তারা মাংস খাওয়ার আগে অবশ্যই সতর্ক থাকবেন।
যদিও ঈদের এ সময় মনকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয় অনেকর পক্ষেই, সেক্ষেত্রে কয়েকটি নিয়ম মেনে গরু বা খাসির মাংস রান্না করলে বা খেলে ক্ষতি হওয়ার ঝুঁকি কম। জেনে নিন উপায়-
চর্বিযুক্ত মাংস খাবেন না : লাল মাংস অর্থাৎ গরু ও খাসির মাংসে অধিক চর্বি থাকে। তাই চর্বিযুক্ত মাংস খাওয়া একেববারেই বন্ধ করুন। শরীরে হঠাৎ চর্বির পরিমাণ বেড়ে গেলে, রক্তে ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়। ফলে উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে।
ছোট পিস করে মাংস রাঁধুন : মাংসগুলো যতটা সম্ভব ছোট ছোট টুকরো করে কাটুন। তাহলে তেলজাতীয় পদার্থ ঝরে যাবে। আর খাওয়ার সময়ও একসঙ্গে ৪-৫পিস মাংস খেতে পারবেন।
অল্প তেলে রান্না করুন : মাংস সব সময় অল্প তেলে রান্না করুন। কারণ লাল মাংসের নিজস্ব যে তেল আছে, তাতেই অনেকটা কাজ হয়ে যায়। সয়াবিনের বদলে সরিষার তেল ব্যবহার করুন।
সবজি দিয়ে মাংস রাঁধুন : গরু বা খাসির মাংস রান্নার সঙ্গে সবজিও মেশাতে পারেন। আলু, পেঁপে, পটল দিয়েও রান্না করতে পারেন মাংস। অনেকে আবারমাংস রান্নায় চুইঝাল আর আস্ত রসুনও পছন্দ করেন।
লবণে মাংস মেরিনেট করুন : রান্নার আগে মাংসে বেশি করে লবণ মাখিয়ে রেখে দিন। তবে তা পরিমাণমতো। লবণ মাংসের শক্ত মাসল ফাইবার সহজেই ভেঙে ফেলে। তাই মাংস নরম হয়ে যায় ও সহজে সেদ্ধ হয়ে যায়।
টেস্টিং সল্ট বা সয়া সস মেশাবেন না : মাংসে টেস্টিং সল্ট কিংবা সয়া সস এগুলো না ব্যবহার করাই ভালো। মাংস বারবার গরম করতে নেই। এতে পুষ্টি উপাদান নষ্ট হয়ে ক্ষতিকর উপাদান ও জটিল প্রোটিন তৈরি হয়।
সালাদ খান সঙ্গে : মাংসের সঙ্গে প্রচুর সালাদ খান। খাওয়া শেষে কোমল পানীয় পান করবেন না। কোল্ড ড্রিংকস ও ডেজার্টের পরিবর্তে মাঠা, জিরা পানি বা টকদই খান।