হাটহাজারীতে সড়কের বেহাল দশা, জনদুর্ভোগ চরমে
হাটহাজারী উপজেলার মেখল ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডস্থ আজিজিয়া মজিদিয়া সড়কের বেশ কয়েকটি অংশ চলাচল অযোগ্য হয়ে পড়েছে। সড়কের বেহাল দশার কারণে জনদুর্ভোগ এখন চরম আকার ধারণ করেছে।
জানা গেছে, পৌর সদর বাস স্ট্যান্ড থেকে সড়কটি ব্যবহার করে রমেশ মহাজন সড়ক ধরে সুবেদার পুকুর পাড় হয়ে চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি আঞ্চলিক মহাসড়কে উঠা যায়। এছাড়া এশিয়ার অন্যতম মৎস্য ক্ষেত্র হালদা নদী, নদী পাড়ের গড়দুয়ারা মাদার্শা ইউপিসহ ফতেয়াবাদ হয়ে চট্টগ্রামের হাটহাজারী সড়ক এবং মাদার্শা মাদারিপুল ধরে নজুমিয়াহাট হয়ে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে উঠা যায়। যার কারণে এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার লোকজন যাতায়াত করে। সড়কটির বেহাল দশার কারণে বেশি ভোগান্তি পোহাতে হয় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকার আনাচে কানাচে সড়কের উন্নয়ন কাজ হলেও এই জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কটিতে তেমন কোনো উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি বললেই চলে। সড়কটির বেশিরভাগ অংশেই কোনো পাশে পরিকল্পিত কোনো নালা নেই। বিশেষ করে পশ্চিম মেখল ৯ নং ওয়ার্ডস্থ তালুকদার বাড়ির অংশ থেকে শুরু করে সড়কের পাশে নালা চোখে পড়েনি। যার কারণে সামান্য একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তার ফকিরহাট বাজারের পূর্ব পাশে তালুকদার বাড়ি ও সৈয়দ বাড়ি সংলগ্ন এবং বড় পীর পাড়া প্রকাশ লেঙ্গার দোকানের পশ্চিমে মুন্সি বাড়ি ঘাটার পূর্ব পাশে সড়কের অংশে পানি জমে পুকুরে পরিণত হয় সড়কটি।
স্থানীয় বাসিন্দা আবু নাঈম জানান, যখন সড়কের সংস্কার কাজ হয় তখন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মানসম্মত উপাদান ব্যবহার না করাতে খুব দ্রুতই সড়ক নষ্ট হয়ে যায়। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সকলের সতর্ক দৃষ্টি রাখা প্রয়োজন এবং রাস্তার পাশের ড্রেনেজ ব্যবস্থারও সংস্থার করা খুব জরুরি বলে উল্লেখ করেন তিনি।
দেওননগর ও মেখল আজিজিয়া মজিদিয়া সিএনজি ফোর স্ট্রোক চালক সমবায় সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী মুহাম্মদ আবদুল মালেক সুমন বলেন, খুব কষ্টে আছি এ সড়ক নিয়ে। এরকম রাস্তায় গাড়ি চালালে গাড়ির আয়ু অর্ধেকে নেমে আসবে এটাই স্বাভাবিক। যা আয় করি তা গাড়ি মেরামত করতেই চলে যায়।
আরেক চালক আবদুল মান্নান মিন্টু বলেন, সড়কটির কিছু কিছু অংশ এমন খানাখন্দে ভরা যে, কোনো প্রসূতি নারীকে গাড়িতে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার উপায় নেই। আমরা দ্রুত সড়কটি সংস্কার করার দাবি জানাচ্ছি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য নেজাম উদ্দীন বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে সড়কটির সংস্কার কাজ করার জন্য ইউএনওকে বলা হয়েছে।
মেখল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. সালাউদ্দীন চৌধুরী বলেন, সড়কটির বেহাল দশার কথা পরিষদের পক্ষ থেকে স্থানীয় সাংসদ ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ মহোদয়কে জানানো হয়েছে। আশা করি খুব দ্রুত সড়কটির সংস্কার কাজ শুরু হবে।
সড়কটির বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে হাটহাজারী উপজেলা প্রকৌশলী জয়শ্রী দে বলেন, সড়কটির ব্যাপারে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম মশিউজ্জামান বলেন, ওই সড়কের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে যোগাযোগ করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।