৫০ বিদেশি ডাক্তারকে বিনামূল্যে সেবা দিতে আসায় জরিমানা
ঢাকা: বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দিতে ইউরোপ থেকে বাংলাদেশে এসেছিলেন ৫০ চিকিৎসক। সেবা দিয়েও তারা জরিমানার শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) এক বিবৃতিতে এ ক্ষোভ প্রকাশ করেন মোমেন। তিনি বলেন, ৫০ বিদেশি চিকিৎসকের একটি টিমকে ব্রিটিশ প্রাইভেট ফাউন্ডেশন (তাফিদা রকিব ফাউন্ডেশন) বাংলাদেশ নিয়ে এসেছে। তারা বিনা পয়সার উন্নত চিকিৎসা শেখাবেন এবং গরিবদের বিনা পয়সায় চিকিৎসা দেবেন।
বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) নিয়ম অনুযায়ী কোনো বিদেশি ডাক্তার বাংলাদেশে চিকিৎসা দিতে পারবেন না। তবে, আমাদের বিশেষ অনুরোধে এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রীর প্রচেষ্টায় তারা এক শর্তে রাজী হন। শর্ত হচ্ছে- স্পন্সর এজেন্সিকে প্রতিজন ডাক্তার বাবদ ১৩ হাজার টাকা ও ভ্যাট দিতে হবে।
এই বিদেশি ডাক্তারদের দেশের কোনো হাসপাতালে বিনা পয়সায় রোগী দেখা বা সেবা করা বা প্রদর্শনী শিক্ষা অপারেশন করাও নিষিদ্ধ। তবে কয়েক বছর আগে রোকেয়া ও রাবেয়া নামক দুটি সিয়ামিজ শিশুর চিকিৎসা হাঙ্গেরি সরকার আমাদের সামরিক (সিএমএইচ) হাসপাতালের সহযোগিতায় করে ও সার্থক হয়। সর্বমোট প্রায় ১৩৯ জন (বাংলাদেশি ও বিদেশি) ডাক্তার ও সহযোগীরা এতে কাজ করেন। বিএমডিসির কাছ থেকে তখন কোনো অনুমোদন নিতে হয়নি। কোনো চার্জ বা জরিমানা দিতে হয়েছে বলে শুনিনি। বর্তমানে হাঙ্গেরি ও বাংলাদেশের মধ্যে খুবই ঘনিষ্ঠ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সক্রিয় উদ্যোগে রোকেয়া রাবেয়ার কাহিনী উভয় দেশে বহুল আলোচিত।
ইউরোপের তাফিদা রকিব ফাউন্ডেশন এবং বাংলাদেশের প্রাইভেট হাসপাতাল অ্যাসোসিয়েশন ও আরটিএম বিশ্ববিদ্যালয় উন্নত চিকিৎসা সেবা বিষয়ক যে কো-অপারেশনের ব্যবস্থা করল, বিএমডিসি তাদের উৎসাহ না দিয়ে বরং জরিমানা করল। বিষয়টি অস্বাভাবিক। নলেজড বেসড স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অঙ্গীকারবদ্ধ। বিএমডিসি প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করবে, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।